মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ৩নং মুন্সিবাজার ইউনিয়নের ধাতাইলগাঁও গ্রামে শব্দকর এক প্রতিবন্ধী (২০) কে ধর্ষন করার অভিযোগ উঠেছে ২সন্তানের জনক উবাহাটা গ্রামের প্রতিবেশী রজত ধর (৫৫) এর বিরুদ্ধে। প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণে ৭ মাসের অন্তঃসত্বা হওয়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। শব্দকর দরিদ্র পরিবারে প্রতিবন্ধী ঐ নারীর পেটে অপর শিশুর জন্মের ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের সাহস পাচ্ছেনা ভুক্তভোগী পরিবারটি। এদিকে ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন প্রতিবন্ধী মেয়েটির ধর্ষক হিসেবে রজত ধরকে দায়ী করছেন এবং তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানাচ্ছেন।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মা,বাবা ও তার ভাইসহ নিকট আত্বীয়রা জানান, শব্দকর দিন মজুর এ পরিবারটির গ্রামে তাদের কোনো ভিটেমাটি নেই। মেয়েটি দরিদ্র পরিবারের হওয়ায় সে রজত ধর এর বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সেই ধর্ষণের ফলে মেয়েটি বর্তমানে ৭ মাসের অন্তঃসত্বা । মেয়েটির বাবা জানান, এমন ঘটনা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।
রজত ধর আমার প্রতিবন্ধী মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এর কাছে বিচার প্রার্থী হয়েছি। এবং আমরা তাকে উপজেলার একটি ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারে পরীক্ষা করাই। সেখানে ৭ মাসের অন্তঃসত্বার বিষয়টি ধরা পড়ে। এ ব্যপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত রজত ধর বলেন- প্রতিবন্ধী নারী আমার ঘরে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন।
কিভাবে ৭ মাসের অন্তঃসত্বা হয়েছে সেই বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারবো না। এ ব্যপারে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আদর মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি অমানবিক। প্রতিবন্ধী ও দিন মজুর পরিবারের সাথে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরী। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাহিদ আহমদ তরফদার ও সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ অন্যান্য গন্যমান্য লোকজন অবগত রয়েছেন। এ ব্যপারে জানতে চাইলে কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান বলেন- বিষয়টি আমি অবগত নয়। পরিবারকে বলেন মামলা করতে। তাদেরকে সার্বিকভাবে সহায়তা করা হবে।