ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে শনিবার ৫ মার্চ দুপুরে পাইলট হাইস্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা ধর্ষক শিক্ষক তহিদুল ইসলামের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধনে ছাত্র সালাউদ্দিন, বসিরউদ্দিন, মেঘনা আকতার, সুমাইয়াসহ অন্যরা বক্তব্য দেন। থানায় অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সহোদর গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে পাইলট হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক তহিদুল ইসলাম(২৩) পৌর শহরের ভান্ডারা মহল্লার গফুর আলীর ১০ম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া আফরোজ বৃষ্টিকে প্রাইভেট পড়াত।
এই সুবাদে তহিদুল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বৃষ্টির সাথে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।তহিদুল বৃষ্টির বাড়িতে যাওয়া-আসাসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ঘোরেন ও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। ঘটনা জানাজানি হলে বৃষ্টির বাবা তহিদুলের কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। তহিদুল ঘটনা অস্বীকার করলেও ১৫ লক্ষ টাকা যৌতুক চেয়ে বিয়ে করতে রাজী হন। বৃষ্টির বাবা এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় বৃষ্টির বন্ধুরা তাকে তহিদুলের বাড়িতে নিয়ে গেলে তহিদুল তাদেরকে মারধর করে তাড়িয়ে দেন। এরমধ্যে তিনি অন্যত্র বিয়ে করার উদ্যোগ নিলে স্থানীয় লো জন বৃষ্টিকে ৩ মার্চ তহিদুলের বাড়িতে রেখে আসে।
বৃষ্টি তহিদুলের বাড়িতে অবস্থান নিলে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরদিন ৪ মার্চ শুক্রবার বৃষ্টির বাবা এ নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরদিন শনিবার ওই স্কুলের ২ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী উপজেলা গেটের সামনে মানববন্ধন করে এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেয়। এ ব্যাপারে থানার তদন্ত ওসি আব্দুল লতিফ শেখ বলেন, বাদি গফুর আলীর লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি। এর প্রেক্ষিতে তদন্তে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক আছে।