“শেখের মায়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমারে একটা পাঁকা ঘর দিছে। আগে মানুষের বাড়িতে ভাড়া দিতাম। ছেলে থাকতো নরসিংদী বাসা ভাড়া বাড়িতে। আমরা কালিকচ্ছ ভাড়া দিতাম ১৮০০ আমার ছেলে ৩০০০ টাকা। এখন আমরা সবাই মিলে এক সাথে থাকি। আমরা ঘর পাইয়া ভালো আছি। দেখেন ঘরের সামনে মুদি দোকান দিছি প্রতিদিন মালামাল বিচ্ছা সংসার ও আমার এ বয়সে চিকিৎসা ও চলে। পরিবারকে নিয়ে একসাথে থাকি,হাসি মুখে বলেন,আমরা এখন অনেক সুখে- শান্তিতে আছি। দোয়া করি শেখ হাসিনা ভালো থাকুক।
আরো মানুষকে বাড়ি দিবার ক্ষমতা আল্লাহ হাসিনাকে দেক” প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরের দুয়ারে বসে আবেগঘন এই কথাগুলো বলছিলো মীর জাহান।কথা হয় খোশনাহার বেগমের সঙ্গে। এ বাড়ি সেই বাড়িতে থাকতাম মাসে ভাড়া দিতে হতো। আমার স্বামী কুমিল্লা কারখানাতে কাজ করতো। চোখে পানি ছেড়ে বলেন, এখন ঘরে থাকি না লাগে ঘর ভাড়া কারেন্ট বিল। ছেলে মেয়েরা এখন লেখা পড়া করে।প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বুড্ডা গ্রামে আশ্রয় প্রকল্প নির্মিত সেমিপাঁকা ঘরে এখন পরিবার নিয়ে বসবাস করছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। আরেক সুবিধাভোগী পারভীন বেগম জানান,স্বামী রিকশা চালাই। আমরা আগে খালা শ্বাশূরির ঘরে টেখা দিয়া থাকতাম। আমি ঘরে সামনে সবজি করি ও হাঁস, মুরগি পালি। স্বামী রিকশা চালাই আর আমার এসব পালনে আমাদের কোন কষ্ট নাই। এখন জি- পুত্র নিয়া সুখে আছি সংসার দিনে দিনে স্বাবলম্বী হয়েছি।
এখন তিনি জমিসহ ইটের ঘরের মালিক। তিনি আরো বলেন আমি স্বপ্নেও কখনো কল্পনা করিনি যে এই রকম মজবুদ পাঁকা ঘরে থাকতে পারবো। এখানে আমরা বাড়ির সঙ্গে বিনামূল্যে কারেন্ট, পানির কল, রাস্তা সবকিছুই পেয়েছি। আমিসহ অনেক গৃহহীন মানুষরা এখানে অনেক সুখে আছি।অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ও দ্বিতীয় ফেজে উপজেলায় মোট ১৩৩টি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ১৫টি,চুন্টা ইউনিয়নে ৫১টি, পানিশ্বর ইউনিয়নে ১৪টি, নোয়াগাঁও ইউনিয়নে ২৩টি ও শাহজাদাপুর ইউনিয়নে ৩০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
বর্তমানে এই আশ্রয়ন প্রকল্পগুলোতে সকল প্রকারের সুবিধা প্রদান সম্পন্ন করা হয়েছে। সরাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.সাইফুল হোসেন বলেন, আমরা স্থানীয় সকলের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে সাধ্যের মধ্যে গৃহহীন মানুষের এই ঘরগুলো মানসম্মত ভাবে নির্মাণ করার চেস্টা করেছি। আশা রাখি জেলার অন্যান্য উপজেলার চেয়ে এই উপজেলার ঘরগুলো বিশেষ নজরদারীর মাধ্যমে তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই আশ্রয়ন প্রকল্পের সবগুলোতে আমরা সকল প্রকারের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছি। এবং তাদের খুঁজ- খবর রেখেছি।
সরাইলউপজেলা নির্বাহী নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, গৃহহীন মানুষের জন্য বাসস্থান তৈরি করে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের মধ্যে একটি অনন্য দৃষ্টান্তর স্থাপন করেছেন।মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প সারা বিশ্বের মধ্যে একটি মডেল। আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা দিন-রাত কষ্ট করে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরগুলো মানসম্মত ভাবে নির্মাণ করার চেষ্টা করেছি। আমি প্রতিনিয়তই আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসরত পরিবারগুলোর খোঁজ-খবর নেওয়ার চেষ্টা করি। জেলা প্রশাসক স্যারও এই প্রকল্প এলাকা মাঝে মধ্যেই পরিদর্শন করেন। বাসিন্দাদের সার্বিক খোঁজ-খবর নেন এবং সমস্যা গুলো সমাধানে সহযোগিতা প্রদান করেন। উপজেলার আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে গৃহহীনরা বর্তমানে খুব ভালো ও সুখে আছেন।