নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কেয়ারিয়া মৌজা এলাকায় বাংলাদেশ পুলিশের আওতাধীন এন্টি টেররিজম ইউনিটের ঢাকা পুলিশ লাইন্স ফোর্সের ব্যারাক ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ প্রকল্পের নামে ৩০ বিঘা জমি অধিগ্রহণ নোটিশ পেয়েছেন স্থানীয় জমি মালিকরা। কিন্তু পূর্বাচলের ২নং সেক্টর সংলগ্ন এবং সেনা আবাসনের প্রবেশদ্বার জলসিড়িঁ ১শ ফিট সড়কের পাশে অতিমূল্যের এ জমি ছাড়তে নারাজ জমি মালিকরা। এর প্রতিবাদে ২২ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার দুপুরে কেয়ারিয়া এলাকায় জলসিড়িঁ সড়কে শতাধিক জমি মালিক মানববন্ধন করেছেন।
এ সময় স্থানীয় জমি মালিকদের মাঝে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে মহিউদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের কৃষকদের ভাগ্য নিয়ে খেলছেন ধনী ও প্রভাবশালীরা। প্রথমে সড়কের জন্য একোয়ার করেছেন, তাতে আমাদের জমি গেছে,এরপর বিভিন্ন আবাসন কোম্পানি বালি ফেলে নেয়ার চেষ্টা করেছেন। এখন আবার পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ জমি একোয়ার করতে নোটিশ করেছেন। আমরা এখন কোথায় যাবো? অপর জমি মালিক মিতালি আক্তার বলেন, বারবার এভাবে আমাদের জমি ছেড়ে দেয়ার নোটিশ করায় আমরা হতাশায় আছি। পূর্বাচলের পাশে এমন অতিমুল্যের জমি শেষ সম্বল কোনক্রমেই ছাড়বো না।
অপর জমি মালিক বকুল মিয়া বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষকবান্ধব। তিনি কৃষক রক্ষায় কাজ করেছেন। কেয়ারিয়ার শত শত কৃষকের আরজি তিনি শুনবেন আশা করি। জমি মালিক হাবিবুর রহমান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দিকে তাকালে আমরা জমি রক্ষা করতে পারবো। আমাদের শেষ সম্বল রক্ষা করতে আমরা সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করবো। এ সময় স্থানীয় জমি মালিকসহ আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ, মসজিদের ইমাম, গৃহবধু ও নারীরা মানববন্ধনে অংশ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।