-এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, বিএনপি নতুন করে নির্বাচন কমিশন নিয়ে কথা বলা শুরু করেছে। বর্তমান আইনের মাধ্যমে সার্চ কমিটি গঠন করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। যার মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন আবারো নির্বাচন করবে। বিএনপি বলছে এই নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে তারা নির্বাচনে যাবে না। অথচ তাদেরই দলের ড. জাফরুল্লাহ সার্চ কমিটি গঠনে নাম দিয়েছেন। ডা. জাফরুল্লাহ্র দেয়া নামই বিএনপির সঙ্গে আলাপ করে দেয়া নাম বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় নওগাঁ জিলা স্কুল মাঠে আয়োজিত সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ কর্তৃক আয়োজিত সম্মেলনে নওগাঁ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহবুবুল হক কমলের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ খাদ্যে উদ্বৃত্ব হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ১৫ বছর আগেও আমাদের এক বেলা ভাত খেয়ে আরেক বেলা ভাত খাওয়ার উপায় ছিলো না। শেখ হাসিনার সুসাশনে এখন কৃষকদের সার, বীজ, কীটনাশকের অভাব নেই। আমাদের মতো গরীব দেশ এখন বাম্পার ফলনে উদ্বৃত্ত হয়ে চাল রপ্তানী করি। আমরা ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল নেপালকে সাহায্য দিয়েছি।
দেশ ডিজিটাল হয়েছে জানিয়ে খায়রুজ্জামান বলেন, এই সেই বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্নেও ভাবেনি এদেশ এতটা উন্নত হয়ে যাবে। আমাদের দেশের বঙ্গবন্ধু সাটেলাইট আকাশে উড়ছে। আমাদেরকে ছবি ও তথ্য পাঠাচ্ছে এবং অন্যান্য দেশ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে ভাড়া করেছে। সেখান থেকে আমরা টাকা পাচ্ছি। শেখ হাসিনা বলেছিলেন যদি নৌকায় ভোট দেন দেশ ডিজিটাল হবে। এখন দেশ ডিজিটাল হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতীসংঘের এসডিজির ১৭টি লক্ষমাত্রা এখন আমরা পূরণের পথে। ২০৩০ সালের আগেই আমরা এসডিজি অর্জন করতে পারবো। এখন বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় আড়াই হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। এটিই উন্নয়ন, এটি শেখ হাসিনার স্বপ্ন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। সোনার বাংলা গড়তে মানুষের ৫টি মৌলিক অধিকার পূরণ হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ভূমি দখলকারীরা দলের নেতা হতে পারবেনা। আওয়ামীলীগে ত্যাগী ও ভদ্র কর্মীদের দলীর নেতেৃত্বে আনা হবে। ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হয়। ক্ষমতায় থেকে যারা উদ্বৃত্ত আচরণ করে তাদের উপর মানুষ খুশি হয়না। এতে মানুষ বিরক্ত হয়। তাই দলীয় নেতাকর্মীদের বিনয়ী হতে অনুরোধ জানান তিনি। যদি কেউ উদ্বৃত্ত আচরণ করে তাকে সংশোধন হওয়ার সময় দিতে হবে। তারপরও যদি সংশোধন না হয় দল থেকে বের করে দিতে হবে।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য ও জনসেবা বিষয় সম্পাদক ড. রোকেয়া সুলতানা ও নওগাঁ-৪ সদর আসনের সাংসদ ব্যরিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিন জন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৩ (বদলগাছী-মহাদেবপুর) আসনের সাংসদ ছলিম উদ্দিন তরফদার, নওগাঁ-৫ (রানীনগর-আত্রাই) আসনের সাংসদ আনোয়ার হোসেন হেলাল প্রমূখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন- সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জালাল হোসেন। উল্লেখ্য, গত ২০১৪ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর দীর্ঘ ৭ বছর পর নওগাঁ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলন শেষে জনসম্মুখে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহবুবুল হক কমলকে পুনরায় সভাপতি এবং রেজাউল করিমকে সাধারন সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি।