কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদ্য নির্বাচিত ইউপি সদস্য (মেম্বার) মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে সদ্য অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে তাকে ভোট না দেওয়ায় একই ওয়ার্ডের মাওলানা মমিনুল ইসলামকে সালিসি বৈঠকে ডেকে শারিরীক নির্যাতন ও ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। এব্যাপারে গতকাল ৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেল ভুক্তভোগী মাওলানা মমিনুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী মাওলানা মমিনুল ইসলাম সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে নির্বাচন করেন মোঃ সিদ্দিকুর রহমান। উক্ত নির্বাচনে একই এলাকার মাওলানা মমিনুল ইসলাম তাকে ভোট না দেওয়ায় নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর থেকে বিভিন্নভাবে হুমকিধামকি দিয়ে আসছিল সিদ্দিকুর রহমানের লোকজন। ঘটনার দিন গত ৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে সদ্য নির্বাচিত সিদ্দিকুর রহমান মেম্বার ও তার লোকজন সালিসি বৈঠক ডাকে। উক্ত সালিসি বৈঠকে উক্ত নির্বাচনে তাকে ভোট না দেওয়ায় মাওলানা মমিনুল ইসলামকে শারিরীক নির্যাতন করে সিদ্দিকুর রহমান মেম্বারের লোকজন। এসময় মমিনুল ইসলামের মা আসিয়া খাতুন (৮০) তাঁর ছেলের পক্ষে সালিসিদের পায়ে ধরে ক্ষমা চাইলেও সালিসি বৈঠকে সিদ্দিকুর রহমানকে ভোট না দেওয়ায় অপরাধে মাওলানা মমিনুল ইসলাম ও তার বড় ভাই মোঃ রফিকুল ইসলামকে কান ধরিয়ে ওঠবস করায় ও ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করে সিদ্দিকুর রহমানের পরিকল্পিত সালিসি বৈঠক।
এদিকে অভিযুক্ত সিদ্দিকুর রহমান মেম্বার জানান, “আমি সালিসি বৈঠকে ছিলাম না, তবে জরিমানার কথাটি শুনেছি।”এব্যাপারে সদর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল হক বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।” এব্যাপারে একইদিন বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা বরাবর ঘটনার বিষয়টি উল্লেখ করে ভুক্তভোগী মাওলানা মমিনুল ইসলাম একটি লিখিত অভিযোগ করেন।