সম্প্রতি মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের কুচাইটল এলাকায় কথিত বাচ্চা হাতিকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়টি বিভিন্ন গনমাধ্যমে উঠে আহলে মৌলভীবাজার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। আদালতের বিচারক মুহম্মদ আলী আহসান বাচ্চা হাতির ওপর শারীরিক নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউভ দেখে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুরে এর পরিপ্রেক্ষিতে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এবং প্রাণীকল্যাণ আইন, ২০১৯ অনুযায়ী হাতির প্রতি নিষ্ঠুর নির্যাতন নিরসনে আদালত জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার (ডিএফও) নিষ্ক্রিয়তা বেআইনি গণ্যে কেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে মর্মে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। উল্লেখিত তারিখের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন ও কারণ দর্শানোর জবাব দাখিলের জন্য ধার্য করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাচ্চা হাতির এমন প্রশিক্ষণকে স্থানীয় ভাষায় ‘হাদানি’ বলে। এটি প্রাচীন পদ্ধতিতে বন্যহাতিকে পোষ মানানোর বিশেষ এক কৌশল। প্রশিক্ষণ অবস্থায় দড়ি দিয়ে বেঁধে গাছের খুঁটির সঙ্গে আবদ্ধ করা হয়। এ সময় বাচ্চা হাতির মাকে দূরে রাখা হয়, নির্দয়ভাবে বাচ্চা হাতিকে শারীরিক নির্যাতন করা হয় এবং যথেষ্ট খাদ্য দেওয়া হয় না। বর্ণিতভাবে দুই মাস প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর সেই হাতিটিকে সার্কাসে বিভিন্ন কসরত দেখানো এবং গাছপালা পরিবহনের কাজে ব্যবহার করা হয়।