চাচার মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে মারা গেলেন ভাতিজি সুজন আক্তার (৩০)। রোজ রবিবার (৩০জানুয়ারী) বাদ জোহর জানাজা শেষে তাঁদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মৃত চাচার নাম হানিফ উদ্দিন (৭০)। তিনি মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির কাঁঠালতলী গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা জানা গেছে, হানিফ উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগসহ নানান বয়স্ক জনিত শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। রোজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি। চাচার মৃত্যুর শোক সইতে পারেননি ভাতিজি সুজন আক্তার। তিনি চাচার জন্য কাঁদতে কাঁদতে একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তাঁকে বড়লেখা পৌর শহরতলীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত হানিফ উদ্দিনের ছেলে হোসাইন আহমদ রবিবার বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে বলেন, ‘আমার বাবা চাচাতো বোন সুজন আক্তারকে আদর-স্নেহ করতেন। তাঁরও (সুজন) বাবা নেই। অনেক আগে মারা গেছেন। সে জন্য তিনি বাবার মৃত্যুর শোক মানতে পারছিলেন না। কাঁদতে কাঁদতে হাঁপিয়ে উঠেছিল শোক সইতে পারেননি। কাঁদতে কাঁদতে একসময় হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বড়লেখার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনাম উদ্দিন চাচা-ভাতিজির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হানিফ উদ্দিন খুব ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাঁর মৃত্যুর কিছুক্ষণ পর পরেই ভাতিজিও কাঁদতে কাঁদতে হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এই ঘটনা সত্যি আমরাও মর্মাহত।