পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলার দুবলার চরের রূপারগাঙ্গ থেকে উদ্ধার হওয়া রয়েল বেঙ্গল টাইগারটির ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কার্যালয়ে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন বাঘটির ময়না তদন্ত সম্পন্ন করেন। এনিয়ে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জে গত ২৯ মাসে চারটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের একই অবস্থায় পাওয়া মৃত্যুদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া পাচারকারীদের কবল থেকে একটি বাঘের চামড়া উদ্ধার করে র্যাব ও বন বিভাগ।
প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন জানান, পূরুষ প্রজাতির এ বাঘটি লেজসহ ৯ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪ফুট ৩ ইঞ্চি প্রস্থ। বয়স আনুমানিক ১৬ বছর হবে। সবকটি দাত সুরক্ষিত রয়েছে। বাঘটির হৃদপিন্ড, চামড়া, দাত, নখ, মাংস ও খাদ্য নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বাঘটি বার্ধক্যজনিত কারনে মারা গেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে ফরেন্সসিক রির্পোটের পরে নিশ্চিত করে মৃত্যুর প্রকৃত কারন বলা যাবে।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, বাঘ সাধারণত ১৫/১৬ বছর বেঁচে থাকে। তাই বার্ধক্য জনিত কারনে বাঘটির মৃত্যু হতে পারে। বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) জানান, শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে বন বিভাগের স্মার্ট টহল দল দুবলার রূপারগাঙ্গ এলাকায় বাঘটি মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের জানায়। ওই দিন রাতেই বাঘটি উদ্ধার করে রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসা হয়। বাঘটির ময়না তদন্ত সম্পন্ন করার পর করমজল বণ্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে ওয়াল্ড লাইফের কর্মকর্তাসহ বাঘ বিশেষজ্ঞরা পরিক্ষা নিরিক্ষ করবেন বলে তিনি জানান।
এর আগে ২০২১ সালের ১৯ মার্চ পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ধনচেবাড়িয়ার চর থেকে একটি, ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারী কোকিলমনির কবরখালি থেকে একটি এবং ২০১৯ সালের ২১ আগষ্ট কটকা অভয়ারন্যের ছাপড়াখালি থেকে একটি মৃত বাঘ উদ্ধার করে বন বিভাগ। এছাড়া ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি সুন্দরবন সংলগ্ন রাজৈর এলাকা থেকে পাচারকারীদের কবল থেকে একটি বাঘের চামড়া উদ্ধার করে র্যাব ও বন বিভাগ।