মুন্সীগঞ্জে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য প্রার্থী চাচা ভাতিজার মধ্যে সংঘর্ষে ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (৯ই জুলাই) বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মুন্সীকান্দি ও বেহের কান্দি গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ শনিবার সকাল হতে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তোজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি সদস্য স্বপন দেওয়ান ও মেম্বার প্রার্থী চাচা নুরুল আমিন দেওয়ানের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সেই বিরোধকে কেন্দ্র চাচা ভাতিজার সমর্থকরা দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলায় ১০ টি বসতবাড়ি ভাংচুর করা হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে চাচা নুরুল আমিন দেওয়ান বলেন, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি মেম্বার প্রার্থী হবো। এ ঘোষনা দেয়ার পর থেকে বর্তমান মেম্বার স্বপন দেওয়ান আমাকে নানাভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে। আমার লোকজনকে মারধরের পাশাপাশি বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করায় আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এতে আমাদের নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বর্তমানে আমরা কেউ গ্রামে ফিরতে পারছিনা। আতঙ্কে দিনযাপন করছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য স্বপন মেম্বার বলেন, নুরুল আমিন ও বিএনপি নেতা উজির আলীর লোকজন আমার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে বাড়িঘরে ভংচুর চালায় এতে আমার কয়েকজন কর্মি গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, উভয় পক্ষের আহতরা হলেন, জাহাঙ্গির (৪৫), বাবু (৩২), রবিন (১৮), কালাম শেখ (৩৫), তুহিন (১৮), রাকিব (১৮), শিশু জাহিদ (৬), রোকসনা বেগম (৪৫) পুতুল (২২), শাহপরান (৩০), আসিক (৩০), ইমরানসহ (২০) জন আহত হয়েছে। আহতদের গোপনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় ওই গ্রাম পুরুষ শুন্য হয়ে।