ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলায় (১০ জুলাই)আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের খেলা নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে।ফুটবল বিশ্বের চিরপ্রতিদ্বন্ধী দুই দল আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। বাংলাদেশেও দুটি দলের ব্যাপক সমর্থক রয়েছে। যাদের অনেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলা জুড়ে। এ দু’দলের খেলা অনুষ্ঠিত হলে পাড়া-মহল্লায় বড় পর্দায় সেটি প্রদর্শন, পিকনিক, পছন্দের দলের পক্ষে মিছিল এসব যেন চিরায়ত দৃশ্য।তবে আগামীকাল রবিবার বাংলাদেশ সময় ভোর ছয়টায় অনুষ্ঠিতব্য ফুটবলের এই দুই পরাশক্তির খেলা উপলক্ষে অতীতের ন্যায় এ ধরণের কোন দৃশ্য সরাইলে হতে দেয়া হবেনা। চলমান কঠোর লকডাউনে যেকোনো ধরণের জনসমাগম সরকারী নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। যে কারণে ফুটবলের অন্যতম জনপ্রিয় আসর কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি হতে যাওয়া দুটি দলের সমর্থকগোষ্ঠীকে সরাইলে একত্রিত হবার সুযোগ দেয়া হবেনা। এছাড়া দুই দলের সমর্থকগোষ্ঠীর মধ্যে যেন খেলার ফলাফল নিয়ে কোনো ধরনের সহিংসতার সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে থাকবে স্থানীয় প্রশাসন।
কোথাও কোনো ধরনের জনসমাগম করে খেলা দেখার কোন প্রকার সুযোগ নেই। আবেগে আয়োজন করা হলে ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শনিবার বিকালে এমনটাই জানিয়েছেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ( সরাইল- সার্কেল) এর এ এসপি মো. আনিছুর রহমান।তিনি বলেন, খেলা উপভোগ করতে হলে অবশ্যই বাসায় থাকতে হবে। খেলা দেখা নিয়ে কোনো ধরনের জনসমাগম মানুষের উত্তেজনা যেন না হয়, সে ব্যাপারে কঠোর নজরদারি রাখা হবে। কোথাও লোকসমাগম করে খেলা দেখা হচ্ছে এমন তথ্য পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সকাল পাঁচটা থেকে আমরা মাঠে থাকবো। এছাড়া খেলা শেষে কেউ যদি বিজয় মিছিল নিয়ে বের হয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান পুলিশের এএসপি মো. আনিছুর রহমান। উল্লেখ্য থাকে যে, খেলা নিয়ে বিতর্কের জেরে গত মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের সাদেকপুর ইউনিয়নে নওয়াব মিয়া নামের একজনকে মারধর করে আর্জেন্টিনা সমর্থক জীবন মিয়ার লোকজন। এর জেরে একই রাতে আর্জেন্টিনার সমর্থক জীবনের তিন সহযোগীকে বেধড়ক পেটায় ব্রাজিল সমর্থক রেজাউলের সহযোগীরা।