1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
সিংগাইরে গাজর চাষ- বাম্পার ফলন ও ভালো দামে চাষীর মুখে হাসি
বাংলাদেশ । শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
ব্রেকিং নিউজ
ডাঃ তাহসীন বাহার সুচনার বিজয়ে কুমিল্লার লন্ডন প্রবাসীদের ইফতার ও মিষ্টি বিতরন এক মিনিটে ৮টি ক্রিম বিস্কুট খেয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এ আবেদন । বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন সাকিব আল হাসান অবরোধের প্রতিবাদে ইবি ছাত্রলীগের মোটরসাইকেল শোডাউন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন বিএনপি জামায়াতকে অগ্নি সন্ত্রাসের পথ ছেড়ে নির্বাচনে আসার আহবান-এমপি বাহার হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচনে  সৈয়দপুর পুলিশের সাফল্য, গ্রেফতার ৩ কুলাউড়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সুপারের তদারকি জাপার সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ কুমিল্লায় হরতাল-অবরোধে ২২ পিকেটিং-ভাংচুর মামলা গ্রেফতার ১০৪

সিংগাইরে গাজর চাষ- বাম্পার ফলন ও ভালো দামে চাষীর মুখে হাসি

সাইফুল ইসলাম তানভীর:
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২২
  • ৭৭৭ বার পড়েছে

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় এবার গাজরের বাম্পার ফলন হয়েছে। ব্যাপক চাহিদা থাকায় ভাল দামও পাচ্ছেন কৃষকরা। তাই এবার গাজর চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে। ভাল দাম পাওয়ায় গাজর চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষীদের। উপজেলার কিটিংচর, দেউলী, দশানী, ভাকুম, নয়াপাড়া, মেদুলিয়া, গাজিন্দা, লক্ষীপুর, নীলটেক, কানাইনগর, মোসলেমাবাদ, বিন্নাডাঙ্গী, আজিমপুর ও চর দূর্গাপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৬ হাজারেরও বেশি কৃষক গাজর চাষের সঙ্গে জড়িত। গাজর চাষ লাভজনক হওয়ায় নিজেদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনে ব্যাপক হারে গাজর চাষের দিকে ঝুঁকছে এই অঞ্চলের কৃষকরা। গাজর চাষ করে অনেক পরিবারে ফিরে এসেছে স্বচ্ছলতা।

কৃষি অফিস ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিংগাইর উপজেলায় গাজর চাষ শুরু হয় প্রায় দুই দশক আগে। প্রথম দিকে শুধু মাত্র জয়মন্টপ ইউনিয়নের দেউরি-দশানী ও ধল্লা ইউনিয়নের নয়াপাড়ায় স্বল্প পরিসরে এর চাষাবাদ শুরু হয়। সময়ের পরিক্রমায় গাজর চাষ এখন সমগ্র সিংগাইরে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন গাজর এ এলাকার প্রধান অর্থকারী ফসলে পরিনত হয়েছে । সারাদেশেই এই গাজরের চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে দেশের গন্ডি পেরিয়ে সীমিত আকারে রফতানিও হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সময়মতো বৃষ্টি হওয়ায় এবার ফলনও বেড়েছে। তবে সিংগাইরে গত বৃষ্টিতে ৫০ হেক্টরের মত জমির গাজর নষ্ট হয়েছে। গতবছর প্রতি হেক্টরে গাজর উৎপাদন হয়েছিল ৩৫-৩৬ মেঃ টন। এবার উৎপাদন হয়েছে ৩৭-৩৮ মেট্রিক টন। গাজর চাষী মোঃ সরিফুল ইসলাম ও মোঃ মেরেজ খান জানান, বীজের দাম অনেক বেশী। বাজারে কোথাও বীজ পাওয়া যায় না। গতবছর এক কেজি বীজের দাম নিয়েছিল ১২-১৩ হাজার টাকা। এবার নিয়েছে ১৫-১৮ হাজার টাকা। বীজের দাম কম হলে আমরা আরও বেশী লাভবান হতে পারতাম। গাজরের বীজের দাম কমানোর দাবি করেন এ চাষীরা।

গাজরের ভরা মৌসুমে শ্রমীকের চাহিদাও বেড়েছে। শ্রমিকরাও ভাল মুজুরী পাচ্ছেন। শ্রমিকরা জানায়, প্রতিবছর এসময় আমরা বেশী মুজুরী পেয়ে থাকি। গাজর বপন, পরিচর্জা, উত্তোলন ও প্রক্রিয়াজাত করণের সঙ্গে জড়িত অনেক লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও হচ্ছে। খেতে থাকা অবস্থাতেই ব্যবসায়ীরা চাষিদের গাজর কিনে নেন। তাই গাজর তুলতে কোনো ঝক্কি ঝামেলা নেই কৃষকদের।

একইসঙ্গে ব্যবসায়ীদেরও গাজর তুলতে কোনো শ্রমিক লাগে না। কারণ গো-খাদ্যের জন্য গাজরের পাতার (উপরের অংশ) বেশ চাহিদা রয়েছে স্থানীয়দের কাছে। তাই গরুর খামারীরাই খেত থেকে গাজর তুলে দিয়ে পাতা নিয়ে যান। এখানকার গাজর ঢাকা, চট্রগ্রাম,নোয়াখালী,ফেনী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হয়ে থাকে। গাজর বেপারী মোঃ মহর আলী বলেন, সিংগাইর ও ইশ্বরদিতে সব চেয়ে বেশি গাজর চাষ হলেও সিংগাইরের গাজরের চাহিদা বেশী। তিনি আরও বলেন, ভাল দাম পেয়ে এবার গাজর চাষীরা লাভবান হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ১১’শ হেক্টর জমিতে গাছর চাষ হয়েছে। বিঘা প্রতি গড় উৎপাদন ২’শ মণের উপরে। এ উপজেলা থেকে বার্ষিক প্রায় ৫ কোটি টাকার গাজর বিক্রি হয় । গাজর চাষ অধ্যুষিত জয়মন্টপ ইউনিয়নের দেউলি গ্রামের কৃষক ইদ্রিস বেপারী, কুদ্দুস বেপারী বলেন, ২৫/৩০ বছর ধরে গাজর চাষ করি। এবারও ১০ বিঘা জমিতে বুনেছি। বিঘা প্রতি ৫’শ গ্রাম বীজ যার মুল্য ৮-৯ হাজার টাকা, সেই সঙ্গে জমি চাষ, সার, পরিচর্যা ব্যয় ও কীটনাশক মিলে প্রায় ২৫/৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। গড়ে বিক্রি ওঠে প্রায় আশি-এক লাখ টাকার। মাত্র আড়াই থেকে তিন মাসে দ্বিগুনের বেশি লাভ।

সায়েস্তা ইউনিয়নের কানাইনহর গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, এক ব্যক্তির সিন্ডিকেটের মাধ্যমে উচ্চ মুল্যে (কেজি ১৮ হাজার টাকা) বীজ কিনতে বাধ্য করা, অপরদিকে মৌসুমের শুরুতে সারের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে সরকার নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে বেশি দাম নেয়া এগুলো দেখার কেউ নেই। ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা কখনো মাঠে আসেন না। সার ও কীটনাশক বিক্রেতাদের দোকানে বসেই তাদের দায়িত্ব পালন করে থাকেন বলেও তিনি জানান।

রাজিব মোল্লা (২৮) নামের আরেক তরুণ চাষি বলেন, চলতি বছর ১২ বিঘা জমিতে গাজর চাষ করেছি। ফলন হয়ছে ভালো। আগাম বাজারজাত করার জন্য বেপারীরা সাড়ে ৭ লাখ টাকা দাম বলেছে। এ টাকায় বিক্রি করলেও খরচ বাদে আমার দ্বিগুনেরও বেশি লাভ হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ টিপু সুলতান সপন বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গাজরের বাম্পার ফলন হয়েছে। দামও অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার বেশি। বিগত সময়ে গাজর চাষ এ অঞ্চলের ১০ হাজারেরও বেশি কৃষকের আর্থিক উন্নয়নসহ ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে বলেও তিনি জানান। গাজর চাষে কৃষকদের সকল রকম সহযোগীতা অব্যহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD