দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিরোধের জের ধরে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় গতকাল ১৬ জানুয়ারি রবিবার সকালে উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের শান্তিনগর গ্রামের সরকার বাড়িতে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে বাড়ির সীমানাপ্রচীর ভাংচুর করে। এসময় হামলাকারীদের হামলায় দুই নারী আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারী ও সরকার বাড়ি পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার দিন হামলাকারীরা দলবল নিয়ে সরকার বাড়িতে হামলা চালায় এবং সীমানাপ্রাচীর ভাংচুর করে। এসময় তাদের হামলায় সাবেক মহিলা মেম্বার রেহেনা আক্তার (৪০) ও নূরুন্নাহার (৪৫) আহত হয়।
এ ব্যপারে প্রত্যক্ষদর্শী ও মৃত অহেদ সরকারের ছেলে মনির হোসেনের স্ত্রী ফাহিমা আক্তার ও আবুল কালামের স্ত্রী আসমা আক্তার রুপা সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর আগে উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকার মৃত সিরাজ আলীর ছেলে ওয়াসেফ, খোরশেদ ও অহিদ এবং মৃত আঃ মুনাফ মিয়ার ছেলে হানিফ মিয়ার কাছ থেকে একই ইউনিয়নের শান্তিনগর গ্রামের অহেদ সরকার ১৮ শতক জমি ক্রয় করেন। কিন্তু দীর্ঘ অনেক বছর পর একই ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আফিল উদ্দিনের ছেলে রুশন এই জমির মালিকানা দাবী করেন।
এই জমির মালিকানা নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মাঝে মাঝে বাগবিতণ্ডা হতো। ঘটনার দিন ১৬ জানুয়ারি রবিবার সকালে রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আফিল উদ্দিনের ছেলে রুশন, তার ছেলে রুকু, ফারুক, বিজয়, একই গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে ইমাম, মৃত খোরশেদ মিয়ার ছেলে দেলোয়ার, সোহাগসহ আরও প্রায় ৫০ জন লাঠিসোটা, হেমার ও শাবল নিয়ে পার্শ্ববর্তী শান্তিনগর গ্রামের সরকার বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তারা বাড়ির সীমানাপ্রচীর ভাংচুর করে ও জবরদখল করে স্থাপনা নির্মাণ করতে শুরু করে।
এ সময় মৃত অহেদ সরকারের ছেলে খোরশেদ আলম এর স্ত্রী সাবেক (ইউপি) মহিলা মেম্বার রেহেনা আক্তার তাদের বাধা দিলে হামলাকারীরা রেহেনা আক্তারকে মারধর করে। রেহেনা আক্তারকে বাঁচাতে তার চাচাতো ভাই জয়দল হোসেনের স্ত্রী নূরুন্নাহার এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা তাকেও মারধর করে। এসময় তাদের হামলায় রেহেনা আক্তার ও নূরুন্নাহার আহত হয়। পরে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসীরা আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। আহত রেহেনা আক্তার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।