কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের একটি হোস্টেলের নাম হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) ছাত্রীনিবাস। ওই ছাত্রীনিবাসে ভূত-আতঙ্ক বিরাজ করছে ছাত্রীদের মধ্যে। এজন্য হোস্টেলটিতে মিলাদ পড়ানো হয়েছে। এ খবর বুধবার (১২ জানুয়ারি) রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচিত হয়। অনেকে এটিকে কুসংস্কার বলে দাবি করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হোস্টেলটির একটি ভবন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। নড়বড়ে ভবনটিতে বৃষ্টি হলে পানি ঢুকে পড়ে। হালকা বাতাস ও ভূমিকম্পে সবাই আঁতকে ওঠেন। সেখানে প্রায় দুই শতাধিক ছাত্রীর বসবাস। তবে বেশ কিছুদিন ধরে ছাত্রীদের মধ্যে ভূত-আতঙ্ক বিরাজ করছে। ছাত্রীদের অভিযোগ, রাত হলে তারা অদ্ভুত শব্দ শুনতে পান। এই আওয়াজ সহজে বন্ধ হয় না। ছাত্রীরা বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো.জামাল নাছেরকে জানালে সোমবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় হুজুর ডেকে হোস্টেলে মিলাদ পড়ানো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোস্টেলে থাকা কয়েকজন ছাত্রী বলেন, ‘করোনার সময় আমরা হোস্টেলে ছিলাম না। তখন হোস্টেলের ভেতর থেকে অনেক ছাত্রীদের জামা-কাপড়সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি হয়ে যায়। পরে আমরা বেশ কয়েকজন বিষয়টি অধ্যক্ষ স্যারকে জানাই। আমাদের ধারণা, হোস্টেলে ভূতের উৎপাত রয়েছে। এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. জামাল নাছের বলেন, হোস্টেলে মেয়েরা ভয় পেয়েছে বলে আমাকে জানিয়েছে। তাই মিলাদ পড়িয়েছি। আমার ধারণা হয়তো পাশে বিড়াল কান্না করেছে অথবা অন্য কোনো কারণে শব্দ হতে পারে।