কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে শালিস বৈঠকের রায়কে তোয়াক্কা না করে ২১ পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের হাফেজ আহমেদ গংদের বিরুদ্ধে। উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের নশতপুর উত্তর পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লামইয়া সাইফুলের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নশতপুর গ্রামের মৃত আব্দুল বারেকের ছেলে হাফেজ আহমেদ তার ভাই আবদুল কাদের ও আব্দুল কাদেরের ছেলে মমিন মুন্সি গংরা প্রায় ২শ বছরের চলাচলের রাস্তার মধ্যে একটি টিনশেডের বেড়া দিয়ে অবরোধ করে রাখে। এতে করে ওই পরিবার গুলোর চলাচলে চরম বিপাক পোহাতে হচ্ছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও স্কুল কলেজে যেতে পারছেনা। এ নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য শালিস বৈঠকেও সমাধান হয়নি।
এ বিষয়ে নশতপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানসহ একাধীক ব্যাক্তি বলেন, গত ৪ মাস যাবৎ আমাদের পরিবার গুলোর মানুষদের জিম্মি করে রেখেছে হাফেজ আহমেদ গংরা। অনেকবার শালিস বৈঠক বসেও সমাধান হয়নি। তারা শালিসের রায়কে তোয়াক্কা না করে পথের মধ্যে বেড়া দিয়ে রেখেছে। তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত আবদুল মমিনের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তিনি এখন ব্যস্ত আছেন। পরে কথা বলবেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার লামইয়া সাইফুল বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।