কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে বিচ্ছিন্ন কিছু সংঘাত ও সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে ৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন গতকাল বুধবার সম্পন্ন হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্র গুলোতে ভোটারগণ দীর্ঘ লাইনে উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। দুপুর আড়াইটার দিকে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর সাতবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দেয়া নিয়ে নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ কবির টুটুল ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী ইয়াছিনের ভোটারদের মধ্যে গোলাগুলি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় তিনজন গুলিবিদ্ধসহ ৭-৮জন আহত হয়।
তারা হলেন, রতন (২৩), ছোটন (২৪), সুনীল (২৭), কাজী ইব্রাহিম (২৭) ও ইমন (২৭) আহত হয়। ঢালুয়া ইউনিয়নের চিওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ককটেল বিষ্পোরণের ঘটনা ঘটে। মক্রবপুর ইউনিয়নের বান্নগর মাদ্রাসা কেন্দ্রে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় বিক্ষুদ্ধ জনতা একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। মৌকরা ইউনিয়নের চাঁন্দগড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইউপি সদস্য প্রার্থী আবদুল লতিফ (মোরগ), ছালেহ আহম্মদ (ফুটবল) ও আবদুল হাই (আপেল) এর ভোটারদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ছয় জন আহত হয়েছে। তারা হলেন, ফরহাদ (১৮), নরুননবী (৩০), আনোয়ার (২৫), আকাশ (২১), দেলোয়ার (২৫), সাইফুল (২৮)। আহতদের কুমিল্লা ও নাঙ্গলকোটের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে পেড়িয়া ইউনিয়নের শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিন ইউপি সদস্য প্রার্থী ভোটারদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ডাঃ যোবায়দা হান্নান উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে জাল ভোটের ঘটনায় ১৫ মিনিট ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে। হেসাখাল ইউনিয়নের পাটোয়ার মহিলা মাদ্রাসা কেন্দ্রের ইউপি সদস্য প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক মিয়াজী (মোরগ) সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে অপর ইউপি সদস্য প্রার্থী লিটনের (ফুটবল) সমর্থকরা তার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে লিটনের ফুটবল প্রতিকে ভোট প্রদান করে। তিনি নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দেয়। ঢালুয়া ইউনিয়নের চিওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ককটেল বিষ্পোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্তত ২০ মিনিট ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে।