কুমিল্লা নাঙ্গলকোটের বাঙ্গড্ডা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শনিবার আনারস প্রতিকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এয়াকুব আলী মজুমদারের সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতায় অন্তত ৭ জন আহত হয়েছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এনিয়ে গতকাল শনিবার উপজেলার ওই ইউপির গান্দাছি গ্রামে সংবাদ সম্মেলন করে স্বতস্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি প্রতিদিনের মত নির্বাচনী গণসংযোগ করার জন্য বাঙ্গড্ডা দক্ষিণপাড়া গ্রামে গিয়ে জানতে পারলাম হেসিয়ারা গ্রামে আমার কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে।
বিষয়টি আমি তাৎক্ষনিক ভাবে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবগত করে হেসিয়ারা গ্রামে গিয়ে আমার প্রতিদ্বন্ধী নৌকা প্রতিকের প্রার্থী এয়াকুব মজুমদারকে জিজ্ঞেস করা মাত্রই তার ভাই কবির, পেয়ার আহম্মদ, মহসিন, ইকবাল, নূরুর রহমান, আলমগীর ও রায়কোট ইউনিয়নের কাশেম, দ্বীনু মজুমদার ও নজরুলসহ শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি আনেন। হামলায় হেসিয়ারা গ্রামের হারুন মিয়া, সুমন ও শাহজাহান আহত হয়েছে।
সাইফুল আরো বলেন, নিয়ম অনুযায়ী একজন প্রার্থী ৩টি নির্বাচনী অফিস করার কথা থাকলেও নৌকার প্রার্থী ৯টি অফিস করেছেন। দলীয় নেতাকর্মীরা আচারণবিধি লঙ্গন করে পথসভার মাধ্যমে উস্কানি মূলক বক্তব্য দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছেন। সংবাদ সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন আবদুর রাজ্জাক আর্মি, ইসহাক মেম্বার, সামছুল হক আর্মি, বশর মজুমদার, রফিকুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম, কামাল হোসেন, এয়াছিন ও আবদুর রহিম প্রমুখ। এ বিষয়ে নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এয়াকুব আলী মজুমদার বলেন, আমার লোকজন হেসিয়ারা গ্রামে নির্বাচনী অফিস করতে গেলে সাইফুল ইসলামের সমর্থকরা বাধা দেয়। পরে আমি গিয়ে ওই গ্রামে অফিস স্থাপন করলে গত শুক্রবার রাতে কে বা কারা অফিসটিতে আগুন দেয়। শুনে আমার ভাইদের নিয়ে ওই স্থানে গেলে সাইফুলের সাথে আমাদের বাকবিতন্ডের এক পর্যায় আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে পেয়ার আহম্মদ, কবির, আলমগীর ও মারুফ নামে ৪ জন আমার কর্মী আহত হয়েছে।
থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের প্রতিদ্বন্ধী দু প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে সংষর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।