মৌলভীবাজারের জুড়ীতে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফুলতলা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাহবুব আলম রওশনের বিরুদ্ধে। হাত ভাঙ্গা শিক্ষার্থী সামাদ আহমদ (১৩) ফুলতলা বস্তির বাসিন্দা সুলতান মিয়ার ছেলে। সে ক্যাম্প টিলা মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে। ইউপি সদস্য কর্তৃক মাদ্রাসা ছাত্রের হাত ভাঙ্গা কে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠেছে। অনেকেই এ ঘটনার প্রতিবাদ করে ফেসবুকে এর তীব্র নিন্দা ও পোস্ট করেছেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রের মা আসমা বেগম জানান , ব্যাডমিন্টন খেলা’কে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য মাহবুব আলম রোশনের ছেলের সাথে আমার ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ইউপি সদস্যের ছেলে আমার ছেলেকে প্রহার করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমি ইউপি সদস্য রওশনের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমার উপরও ক্ষিপ্ত হন। এক পর্যায়ে ইউপি সদস্য দুই ছেলে সহ আমার উপর হামলা করে। হামলার পর স্থানীয়রা আমাদেরকে উদ্ধার করে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠান।এসময় ইউপি সদস্যের প্রহারে আমার ছেলের হাত ভেঙ্গে যায়। তিনি আরোও বলেন, রুশন মেম্বার আমাকে বলে, সে বেঁচে থাকলে দেখবে তার ইউনিয়নে আমি কিভাবে থাকি।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য মাহবুব আলম রওশন বলেন, এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই। নির্বাচনী প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। স্থানীয় ফুলতলা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুক আহমেদ বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। এ রকম ঘটনা ঘটে থাকলে এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ইউপি সদস্য কর্তৃক মাদ্রাসা ছাত্রের হাত ভেঙ্গে ফেলার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।