মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের একটি ভোটকেন্দ্রে শতভাগ ভোট প্রয়োগ হয়েছে। বড়গাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের মোট ১৯১৫ জন ভোটারের মধ্যে সকল ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেননি ওই কেন্দ্রের মৃত ও প্রবাসী ভোটাররাও! বিষয়টি নিয়ে রাজনগর উপজেলা জুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। এই কেন্দ্রের শতভাগ ভোট প্রয়োগের বিষয়টিতে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তাদের যোগসাজস রয়েছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, এই উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের বড়গাঁও কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলেন ১৯১৫ জন। রোজ রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) শেষ হওয়া নির্বাচনের ফলাফল প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক সরবরাহ করা হয় সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে।
সেই ফলাফল বিবরণীতে উল্লেখ করা হয় বড়গাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বৈধ ভোট পড়েছে ১৩৭০টি ও অবৈধ (বাতিল) ভোট পড়েছে ৫৪৫টি। সেই হিসাবে ১৯১৫টি ভোট অর্থাৎ যত ভোটার তত ভোট পড়েছে ওই কেন্দ্রে! এমনটা নিয়ে উপজেলা জুড়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনার ঝড়। এলাকার ভোটারদের মধ্যে অনেকেই প্রবাসে রয়েছেন। কয়েক বছরে সেখানকার অনেকেই মারা গেছেন কিন্তু ভোটার তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়নি। এই কেন্দ্রে শতভাগ ভোট প্রয়োগে ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকেননি মারা যাওয়া ও প্রবাসী ভোটাররাও। খোদ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে প্রার্থী হয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হওয়া চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ছানা এই বিষয়টি নিয়ে হতবাক এবং নির্বাক।
চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী সিরাজুল ইসলাম ছানা বলেন, ওই এলাকার অনেকে প্রবাসে থাকেন। অনেকে মারা গেছেন। শতভাগ ভোট প্রয়োগ হওয়ার কথা নয়। সেখানে যে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে তা বুঝা যায় শতভাগ ভোট প্রয়োগ হওয়ার ঘটনায়। ওই এলাকায় আমি কমপক্ষে সাড়ে ৪০০ ভোট পাওয়ার কথা। কিন্তু ৫০টি পেয়েছি।
ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা উপজেলার সালামত স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, সেখানে ভোটার সংখ্যা ১৯১৫ জন। শতভাগ ভোট প্রয়োগের হওয়ার কথা নয়। আমি বিষয়টি দেখছি এমনটাই জানান।