গতকাল ১৫ নভেম্বর রাত সাড়ে নয়টার দিকে মংলা বন্দরের একটি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ কয়লা বোঝাই করে ছেড়ে আসার সময় অন্য আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় কয়লা বোঝাই কার্গো জাহাজ এমভি- ফারদিন-১। এ সময় ওই কার্গো থাকা ৭ নাবিকের মধ্যে রিয়াজ ও রায়হান নামে দুইজন সাতার কেটে কিনারে উঠতে পারলেও গ্রিজার ও সুকানীসহ ৫ জন নিখোজ হয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) গভীর রাতে পশুর চ্যানেলের হারবাড়িয়া এলাকায় কার্গোটি উদ্ধার কাজে সংশ্লিষ্ট ডুবুরি দল কার্গো থেকে জিহাদ নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করে। এ নিয়ে মোট ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এখনা নিখোঁজ লস্কর হামিদ।
এদিকে জিহাদের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন মংলা থানার এমার্জেন্সি কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক বিশ্বজিৎ মুখার্জী। তিনি বলেন, জিহাদের লাশ উদ্ধারে খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা আজ শুক্রবার সকালে ভান্ডারিয়া এলাকা থেকে রওয়ানা হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এছাড়া এখনো নিখোজ লস্কর আব্দুল হামিদের (৬০) সন্ধান মেলেনি। উদ্ধার হওয়া নাবিক জিহাদ পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার উত্তর ভিটা বাড়িয়া গ্রামের মঞ্জু মার্কেট এলাকার আলম হাওলাদারের ছেলে।