কুমিল্লার নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা করলে জেলখানা খালি আছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান। তিনি বলেছেন,এদিক সেদিক ঘুরে লাভ নেই। সরকারের পক্ষ থেকে পরিষ্কার মেসেজ দিচ্ছি, আগামী ২৬ ডিসেম্বর (চতুর্থ ধাপে) চৌদ্দগ্রামে ১২ ইউনিয়নে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। নির্বাচনের আগে ও পরে এবং ভোটের দিন মহাসড়কে কোনও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে রবিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকালে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা হল রুমে প্রার্থী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। প্রার্থীদের উদ্দেশে জেলা প্রশাসক বলেন,আপনি চেয়ারম্যান হিসেবে পাস করলেন কী করলেন না এতে আমার কিছু যায় আসে না। আমার উদ্দেশ্য অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন করা। যাদের রক্ত গরম তারা ঠান্ডা হয়ে যান। বিশৃঙ্খলা করা যাবে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচন হচ্ছে একটি কৃত্রিম খেলা। এ খেলায় কেউ কেউ নিজেদের মতো করে জয়ের চেষ্টা করে। ইতোমধ্যে জেলার কয়েকটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমি আমার বাহিনীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছি। পুলিশের অবস্থা জিরো টলারেন্স। আমরা আপনাদের প্রতিপক্ষ নয়। আমরা আপনাদেরকে সহযোগিতা চাই। বছরের ৩৬৫ দিনের একটি দিন আপনার জন্য বাকি ৩৬৪ দিন পুলিশের জন্য।
তিনি প্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, অহেতুক কোনও প্রার্থী থানার আশপাশে ঘোরাঘুরি করবেন না। আপনার কিছু বলার থাকলে ওসির কাছে লিখিতভাবে জানাবেন। প্রশাসন জাল পেতে রেখেছে, সেই জালে ধরা পড়লে খবর আছে। হুন্ডা আর গুণ্ডা মার্কা নির্বাচনে হবে না। চৌদ্দগ্রামে হবে একটি রক্তপাতহীন নির্বাচন।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মঞ্জুরুল হকের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় নির্বাচন কর্মকর্তা দুলাল তালুকদার, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম।