বাগেরহাটে শত্রুতার জেরে একটি মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের খলসী গ্রামের একটি বিলে মৎস্য ব্যবসায়ী শেখ রানার মাছের ঘেরে এই ঘটনা ঘটে। এতে ২-৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ঘের মালিকের।বিষ প্রয়োগের কারণে ওই মাছের ঘেরসহ পানি দূষিত হয়ে চিংড়ি কার্প জাতীয় মাছ ও জীব বৈচিত্র্য চরম হুমকির মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।এ ঘটনার পরপরই যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. এ. মতিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দোষীদের বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ঘেরের মালিক শেখ রানা জানান, ঘেরে বিষ প্রয়োগের ঘটনায় তিনি একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। স্থানীয় বেসরকারি এনজিও এনআরবিসি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে প্রায় ৮ মাস ধরে লিজ নেওয়া ৯ বিঘা জায়গাজুড়ে ৩ টি মাছের ঘেরে চাষ করে আসছিলেন তিনি। এ জন্য প্রচুর বিনিয়োগও করে রেখেছেন। আসছে শুকনো মৌসুমে সেখান থেকে ২-৩ লাখ টাকার মাছ পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগের ফলে চিংড়িসহ ২-৩ কেজি ওজনের বড় আকারের অনেক মাছ মারা গেছে। আর ছোট আকারের মরা মাছগুলো পানিতে ভেসে উঠেছে।
মৎস্য ঘেরের মালিক শেখ রানা আরও বলেন, “শুক্রবার সকালে প্রতিদিনের মত ঘেরে মাছের খাদ্য দিতে এসে দেখি চিলের উড়াউড়ি করছে। পরে পানিতে নেমে দেখি প্রচুর পরিমাণে মাছ মরে ভেসে উঠেছে।তিনি অভিযোগ করেন, এলাকার কিছু লোক শত্রুতা করে আমার মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে থাকতে পারে।গত বছরও একইভাবে বিষ দিয়ে আমার চাষের সকল মাছ মেরে ফেলেছে। আট মাস ধরে বাড়ি ঘর ছেড়ে বিলে পড়ে আছি। এর ওপর আমার ৫ সদস্যের পরিবারের খরচ চালাতে হয় এই মৎস চাষের টাকায়। ব্যাংক, এনজিও মিলে আমার অনেক টাকা ঋণ রয়েছে। মাছের খাদ্যের দোকানেও দেনা আছে। বাগেরহাট মডেল থানায় আমি সাধারন ডায়েরী করেছি।আমি আইনের কাছে এঘটনার বিচার মাধ্যমে ক্ষতিপূরনের দারি জানাচ্ছি”।