কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে সাত ইউনিয়নের পাঁচটিতে পরাজিত হয়েছে আওয়ামী লীগ। সাত ইউনিয়নের তিনটিতে জাতীয় পার্টি, দু’টিতে আওয়ামী লীগ, একটিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) উপজেলার তিলাই, পাইকেরছড়া, জয়মনিরহাট, আন্ধারীঝাড়, চর ভূরুঙ্গামারী, বলদিয়া ও বঙ্গসোনাহাট ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
তিলাই ইউপিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে কামরুজ্জামান ৫ হাজার ৩৬৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান একেএম ফরিদুল হক শাহিন শিকদার পেয়েছেন ৩ হাজার ১৫৪ ভোট।পাইকেরছড়া ইউপিতে জাতীয় পার্টির আব্দুর রাজ্জার সরকার ৬ হাজার ৭২২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফারুক আহমেদ ৬ হাজার ১৫২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।
জয়মনিরহাট ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ মোটরসাইকেল প্রতীকে ২ হাজার ৮২৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রব্বানী তালুকদার আনারস প্রতীকে ২ হাজার ৫৭১ ভোট পেয়েছেন। আন্ধারীঝাড় ইউপিতে জাতীয় পার্টির জাবেদ আলী মন্ডল লাঙ্গল প্রতীকে ৫ হাজার ৬৫৩ পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের ফজলুল হক মন্ডল নৌকা প্রতীকে ৩ হাজার ৭৬৭ ভোট পেয়েছেন।
চর ভূরুঙ্গামারী ইউপিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাত পাখা প্রতীকে মানিক উদ্দিন ২ হাজার ১৮৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন জাতীয় পার্টির জাহাঙ্গীর আলম। তিনি লাঙ্গল প্রতীক ২ হাজার ১২৭ ভোট পেয়েছেন। বলদিয়া ইউপিতে জাতীয় পার্টির মোজাম্মেল হক লাঙ্গল প্রতীক ৬ হাজার ৪৩৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী মোখলেছুর রহমান আনারস প্রতীক পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৬৫ ভোট।
বঙ্গসোনাহাট ইউপিতে মায়নুল ইসলাম লিটন নৌকা প্রতীকে ৬ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টির শাহজাহান আলী মোল্লা লাঙ্গল প্রতীকে ৪ হাজার ২২৫ ভোট পেয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, উপজেলার সাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে ইউনিয়নগুলোর ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৩৬ জন ভোটারের মধ্যে ৯১ হাজার ৩৯৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। যার মধ্যে ১ হাজার ৪১৪টি ভোট বাতিল হয়েছে।