মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় অন্তর্গত ভাড়াউড়া লেকের গোল টিলা, শংকর টিলা এবং নয়নাভিরাম নয়ালেক যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে পর্যটকদের। সবুজ চা-বাগানের মধ্যখানে লেকের বিশাল জলরাশিতে রঙিন শাপলা, পাখির কিচিরমিচির ডাক আর সাদা বকের পদচারণায় যেন সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়।
অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা এই ভাড়াউড়া লেক। প্রকৃতির এই সময়ে ভাড়াউড়া লেকের ডানে গোল টিলাটির পেছনের অংশে অল্প একটু জায়গা ছাড়া চারপাশেই পানিতে পরিপূর্ণ। গোল টিলাটি সবুজ চা-বাগান এবং ছায়া বৃক্ষে ঘেরা। যার একপাশে রয়েছে শংকর টিলা। যেখান থেকে গোল টিলার প্রায় ৮০ ভাগই দৃশ্যমান।
শংকর টিলা থেকে গোল টিলার দিকে তাকালে অপরূপ সৌন্দর্যমণ্ডিত প্রাকৃতিক রূপ নিমেষেই দূর করে দেবে মনের ক্লান্তি, বিষন্নতা। আর এই শংকর টিলা থেকে গোল টিলার সৌন্দর্য দেখার পাশাপাশি শংকর টিলা নিজেই অন্য রকম এক সৌন্দর্য ধরে রেখেছে।
শংকর টিলাটি আশপাশে টিলার মধ্যে উঁচু। যেখানে রয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি শিবলিঙ্গ ও শিব মূর্তি। টিলাটি অনেক উঁচু এবং খাড়া হওয়ায় বাগান কর্তৃপক্ষ সেখানে ওঠার জন্য আরসিসি ঢালাই করে দিয়েছেন। যার একপাশ থেকে পুরো ভাড়াউড়া লেক দেখা যায়। ডান দিকে পাশের টিলায় গেলে দৃশ্যমান হয় বুড়বুড়িয়ার নয়ালেক। চা-বাগানের সৌন্দর্য বৃদ্ধির স্বার্থে বাগান কর্তৃপক্ষ গত বছর এটি খনন করে। পাশাপাশি দুটি লেক এবং দৃষ্টির সীমানাজুড়ে শুধু সবুজ আর সবুজ যা ভ্রমণপিপাসুদের দেয় অনাবিল আনন্দ।
ভ্রমণপিপাসু রাহুল হাজরা বলেন, এই লেকে হেঁটে গেলে অন্য রকম এক অনুভূতি মিলবে। কারণ, লেকে যাওয়ার পথে চা বাগান ও বাগানের নার্সারি রয়েছে যা এক মনোরম দৃশ্য সৃষ্টি করে। এ পথের আশপাশে কোনো বাড়ি চোখে পড়বে না। যত দূর চোখ যায় শুধু প্রকৃতি।
যেভাবে যাবেন: শ্রীমঙ্গল শহর থেকে কলেজ রোড হয়ে সোজা ভাড়াউড়া চা-বাগান। এ চা-বাগান থেকে ডান দিকে রেললাইন ক্রস করে কিছু দূর গেলে বা দিকে সোজা চলে গেছে শংকর টিলা।
এর দূরত্ব শহর থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার হবে। তবে দুই কিলোমিটার পর্যন্ত রিকশায় গিয়ে পরে হাঁটাপথ। জিপ বা মোটরসাইকেল হলে সরাসরি শংকর টিলাই ওঠা যাবে। তবে দলবেঁধে বা একসঙ্গে বেশি লোক গেলে অবশ্যই চা-বাগান কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।