কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর তিলাই ইউপিতে ভিজিএফের চাল পঁচে নষ্ট হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।স্থানীয়দের অভিযোগ ভিজিএফের চাল বিতরণ না করে দীর্ঘদিন গুদামে ফেলে রাখার কারণে চালে পচন ধরেছে এবং চালগুলো খাবার অনুপযোগী
হয়ে গেছে।এতে দুস্থরা তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হবেন।
জানা গেছে,ঈদুল আযহা উপলক্ষে তিলাই ইউনিয়নের ৩ হাজার ১৭২ জন ভিজিএফ সুবিধাভোগীর জন্য জনপ্রতি ১০ কেজি করে প্রায় ৩২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়।ঈদের পরেও ৪৮৫ জন সুবিধাভোগীর চাল বিতরণ না হওয়ায় তা গুদামে রয়ে যায়।এরপর তিন দফায় ওই চাল বিতরণ করা হলেও ১৭৫ জন সুবিধাভোগীর চাল অবশিষ্ট থেকে যায়।সেই চালে পচন দেখা দিয়েছে।
সোমবার দুপুরের দিকে পরিষদের গুদামে থাকা ভিজিএফের চাল পরিষদের অন্য একটি কক্ষে সরিয়ে রাখার সময় চালে পচন ধরার বিষয়টি জানতে পারেন স্থানীয়রা।এসময় তারা চালে পচন ধরায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।তিলাই ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ও ভিজিএফ কমিটির সদস্য জহির উদ্দিন জানান,ঈদুল আযহার আগে দুস্থদের মাঝে ভিজিএফের ১০ কেজি করে চাল বিতরণ শেষ করার কথা থাকলেও ১৭৫ জন সুবিধাভোগীর চাল এখনো বিতরণ করা হয়নি।
চালগুলোতে পচন ধরায় সেগুলো খাবারের অনুপযোগী হয়ে গেছে।ইউনিয়নটির দক্ষিণ তিলাইয়ের বাসিন্দা আসর উদ্দিন জানান,ভিজিএফের তালিকায় আমার নাম আছে।চাল নিতে দুইদিন ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছিলাম কিন্তু পরিষদ থেকে চাল দেয়া হয়নি।আজ দেখলাম চালের বস্তায় পচন ধরেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল হক শাহীন শিকদার জানান,তিন হাজারের অধিক ভিজিএফ সুবিধাভোগীর তালিকাতে ১৭০ জনের তথ্যে গরমিলদেখা দেয়ায় চাল বিতরণ সম্ভব হয়নি।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি অবগত আছেন।তবে চালে পচন ধরার বিষয়টি আমার জানা নেই।চালের বস্তাগুলো গুদামের মেঝেতে রাখা হয়েছে।বস্তাগুলো বেশকিছু দিন যাবত মেঝেতে আছে তাই নিচের দিকের বস্তায় পচন ধরলেও ধরতে পারে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম জানান,ভিজিএফের চালে পচন ধরার কথা শুনেছি।আগামী ১১ নভেম্বর তিলাই ইউপিতে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।নির্বাচন শেষে ভিজিএফের চালে পচন ধরার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মা জানান,ভিজিএফের চালে পচন ধরার বিষয়টি তদন্তের জন্য একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।