ঝালকাঠির রাজাপুরে বসতঘর ভাংচুর করে মালামাল লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলার সাতুরিয়া এলাকার মোঃ মিল্লাত হোসেন জোমাদ্দারের মেয়ে চন্দ্রিমা রিমুর বিরুদ্ধে।চন্দ্রিমা রিমু উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে বিউটিশিয়ান পদে কর্মরত রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের নৈকাঠি বাজার সংলগ্ন মোঃ শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।শহিদুল ইসলাম ঐ এলাকার মৃত এস্কন্দার আলী হাওলাদারের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায,বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ করে চন্দ্রিমা রিমু এবং রাজাপুর সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের সদস্য নাজমা ইয়াসমিন মুন্নি ৩০/৩৫ জন নারীসহ প্রায় দেড়শত ভাড়াটিয়া লোক হাতে দেশীয় অস্ত্র রামদা,দা,লোহার রড়,হাতুড়ি ও লাঠি নিয়ে শহিদের বাড়িতে আসে।এ সময় শহিদ,তার স্ত্রী রমিছা আক্তার ও শ্বাশুরি মজিদা বেগমকে মারধর করে দড়িঁ দিয়ে বেধে রেখে তাদের বসত ঘর ভাংচুর করে ধংসস্তুপে পরিণত করে।
ঘরে থাকা সমস্ত মূল্যবান মালামাল লুট করে পিকাপে তুলে নিয়ে যায়।তারা আরো জানায়,যুদ্ধের সময় অনেক লুটপাটের কথা
শুনেছি।কিন্তু এই স্বাধীন দেশে দিনের বেলায় এমন লুটপাটকে যুদ্ধের সময়কেও হার মানিয়েছে।ভূক্তভোগী মোঃ শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানায়,চন্দ্রিমা রিমু নারী-পুরুষসহ প্রায় এক থেকে দেড়শত ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে আমাদের মারধর করে বেধে রেখে বসতঘর ভাংচুর করে সমস্ত মালামাল লুট করে পিকাপে করে নিয়ে যায়।
ভাড়াটিয়া লোকের অস্ত্রের ভয়ে স্থানীয়রা কেউ সামনে আসতে পারেনি।অভিযুক্ত চন্দ্রিমা রিমু লুটপাটের বিষয় অস্বীকার করে জানায,ঐ বসত ঘর ও জমি আমার স্বামীর,তাতে ওদের থাকতে দিয়ে ছিলাম।ঐ স্থানে ভবনের কাজ শুরু করবো তাই বসতঘরটি লেবার দিয়ে অপসারন করা হয়েছে।কাজ শেষে লেবারের বিল দিতে আমি ও ইউপি সদস্য নাজমা ইয়াসমিন মুন্নি ঘটনা স্থানে যাই।
রাজাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন,খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে ঘটনাস্থল থেকে জাহাঙ্গীর,নুরুজ্জামান,জুয়েল নামে তিন জনকে আটক করা হয়েছে।এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।