ডিজেলের বাড়তি দামের সাথে বাস ভাড়ার সমন্বয় না হওয়াতে ভোলা জেলা ও আন্ত জেলা যাত্রীবাহী বাস মালিক গন তাদের গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।গতকাল (৪নভেম্বর) রাত থেকে বাংলাদেশ জালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় জালানী তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষনা দেয়।তারপর থেকে দেশের বিভিন্ন খাতে এর প্রভাব পড়তে থাকে।তারই ধারাবাহিকতায় জালানী তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়ে পরিবহন খাতে।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) বিকালে ভোলা জেলা বাস মালিক সমিতির একটি প্রতিনিধি দল ভোলা জেলা প্রশাসক জনাব তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরীর থাকে এ বিষয়ে স্বাক্ষত করেন। তারা জেলা প্রশাসকের কাছে তাদের দাবী গুলো তুলে ধরেন।জেলা প্রশাসক জনাব তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরীর বাস মালিক সমিতির প্রতিনিধি দলের সাথে কথা বলে তাদের কে আগামী ৩ দিনের মধ্যে একটি সঠিক সমাধান দেওয়া হবে বলে জানান।
ভোলা জেলা বাস মালিক সমিতির প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন বাস মালিক সমিতির,সহ-সভাপতি রুহুল আমিন মিয়া,শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মিজানুর রহমান সহ মালিক সমিতির অন্যান্য নেত্রী বৃন্দু।এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভোলা জেলা বাস মালিক সমিতির সাংগঠিনক সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম।ভোলা জেলা বাস মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন,খনিজ ও জালানী সম্পদ মন্ত্রনালয় হঠাৎ করে জালানী তেলের দাম বাড়িয়ে দেয়।কিন্তু সে অনুযায়ী বাসের ভাড়া ভাড়ানো হয় নি।দাম বাড়ার সাথে সাথে এর বিরুপ প্রভাব পরিবহন খাতে পড়তে শুরু করেছে।
গতকাল থেকে যে কয়েকটি বাস রোড়ে চলাচল করছে প্রতিটি বাস লোকসান গুনতে হচ্ছে।তিনি আরো জানান,যদি জেলা প্রশাসক আগামী ৩ দিনের মধ্যে আমাদের কে সঠিক সমাধান না দেয় তাহলে আমরা কঠিন কর্মসূচি গ্রহন করবো।পরিবহন সংশ্লিষ্ট মালিকরা জানিয়েছেন,যদি সরকার এর কোন সুস্থ সমাধান না করে তাহলে তারা যে কোন কঠিন কর্মসূচি গ্রহন করতে বাধ্য হবে।
নাম প্রকাশ না করা সত্যে কয়েক জন বাস মালিক জানান,গতকাল রাতে জালানী তেলের দাম বাড়ার ঘোষনা দেওয়ার পড়েই আমরা আমাদের গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছি।তবে তারা বাস গুলো বন্ধ করেছেন তাদের নিজ নিজ দায়িত্বে।তারা আরো জানান,যদি মালিক সমিতি থেকে কোন সিদান্ত জানানো হয় তাহলে তারা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,জেলার বেশির ভাগ বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাস মালিকরা।যে খানে জেলায় প্রতিদিন,আন্ত জেলা ও অভ্যন্তরী রোড় সহ প্রতিদিন ১০০ থেকে ১২০ টি বাস চলাচল করতো সেখানে এখন নামে মাত্র ২০ থেকে ২৫ টি বাস চলাচল করছে।রাস্তায় পর্যাপ্ত গাড়ি না থাকায় যাত্রীদের পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে।বিশেষ করে আন্ত জেলা যোগাযোগ রুটগুলোতে বাসের সংখ্যা কমে যাওয়ায় শুরু হয়েছে যাত্রীদের দুর্ভোগ।