নীলফামারীর সৈয়দপুরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি যাত্রীবাহী বাস বিপরীত দিক থেকে আসা একটি রিক্সা ভ্যানকে সামনাসামনি চাপা দেয়।পরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি রাস্তার পাশের গাছে ধাক্কা লেগে সামনের দুটি চাকা ভেঙে মাটিডে মুখ থুবরে পড়ে।এতে ২ জন নিহত ৩০ জন আহত হয়েছেন। ৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টাায় শহরের উপকন্ঠে রাবেয়া মোড় এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।
মুখোমুখি সংঘর্ষের এই ঘটনায় গুরুতর আহত ২ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) প্রেরণ করা হয়।সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যায়।এর মধ্যে অজ্ঞাতনামা মহিলা যাত্রী প্রথমে ও পরে ভ্যানচালক জামান মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।এভাবে পর পর সড়ক দূর্ঘটনায় তিন দিনে ৭ জনের মৃত্যু এবং প্রায় ৬৫ জন আহত হওয়ায় জনমনে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য,গত ৩ নভেম্বর বুধবার ট্রাক চাপায় তিনজন পরিবহন শ্রমিক নিহত ও একজন আহত হন।নিহতরা হলেন নীলফামারী জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির চেইন মাস্টার জাহাঙ্গীর ভাণ্ডারী (৫৫),নীলফামারী জেলা পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য রবিউল (৫০) ও আলম হোসেন (৪৫)।শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।এতে চাপ্পু নামে গুরুতর আহত অপর শ্রমিক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর রোববার বিকেল তিনটার দিকে বাস টার্মিনাল সংলগ্ন রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের সামনে যাত্রীবাহী বাস পথচারীকে চাপা দিয়ে পালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে ২ জন নিহত হন।এর মধ্যে একজন পথচারী মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের এম্বুলেন্স চালক তহিদুল ইসলাম।অন্যজন বাস যাত্রী মঞ্জর আলীী (৬৫)।এ ঘটনায় আহত হন আরও ৩০ জন।
স্থানীয়রা সড়ক দূর্ঘটনার জন্য ট্রাফিক বিভাগকে দায়ী করছেন।নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর সৈয়দপুর কমিটির সম্পাদক কামাল ইকবাল ফারুকী বলেন,গাড়িগুলো অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও অদক্ষ ড্রাইভাররা বেপরোয়া ভাবে চালানোর কারনে এধরনে একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনা তরতাজা মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে।তিনি বলেন আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা এধরনের অপরাধকে প্রতিরোধ করতে তেমন কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার ট্রাফিক বিভাগের প্রধান পরিদর্শক নাহিদ পারভেজ চৌধুরী বলেন,দূর্ঘটনা রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং চালক ও শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেয়ার সার্বিক প্রচেষ্টা চালানো হয়।তারপরও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অনেক চালক বেপরোয়া যান চালানোর কারনে দূর্ঘটনায় নিপতিত হচ্ছে।তিনি বলেন,আমাদের নিয়ন্ত্রনাধীন এলাকা হলো শহর তথা পৌর অঞ্চল।শহরে গতি নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও মহাসড়কে এগুলো দেখার দায়িত্ব মূলতঃ হাইওয়ে পুলিশের।তারা সহযোগীতা করলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু কমানো সম্ভব।