ষ্টাফ রিপোর্টার: কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে জেলা সাব-রেজিষ্টার অফিসে প্রকাশ্য দিবালোকে কর্মচারীদের অস্ত্রের মুখে জীম্মি করে এক দলিল লেখক দলিল ঘষামাজা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ১২ নভেম্বর রাতে সদর সাব রেজিষ্টার কার্যালয়ের অফিস সহকারী মোঃ আবদুস সামাদ বাদী হয়ে আবুল বাসার সাজ্জাদ (৪০) নামের এক দলিল লেখক ও অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা রুজু হয়েছে ।
মামলার এজাহারে জানা যায়,চলতি বছরের গত ৩১ অক্টোবর শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দুপুর আনুমানিক ২ টায় সাব- রেজিষ্টার অফিসের সামনে দাড়িয়ে মোহরাব মোঃ আজাদ ও পিয়ন আবদুল জলিলের সাথে আলাপ করছিলেন অফিস সহকারী আবদুস সামাদ । এসময় দলিল লেখক মোঃ আবুল বাসার সাজ্জাদ ও অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন ব্যক্তি তাদের ঘিরে ফেলে অস্ত্রের মুখে জীম্মি করে আব্দুস সামাদের কাছে থাকা রেকর্ড রুমের চাবি কেড়ে নেয়।
এরপর দ্রুত সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়া সত্তেও অফিসের তালা খুলে রেকর্ড রুমে প্রবেশ করেন। এসময় অফিস সহকারী আবদুস সামাদ তার কক্ষের দিকে এগিয়ে আসলে তাকে অস্ত্রধারীরা পিস্তল উচিঁয়ে বাঁধা দেয় এবং রেকর্ড রুমে থাকা একটি দলিল (আম মোক্তার নামা দলিল, উহার নং-৬৩২৭/২০) নিয়ে অফিসের বাইরে চলে আসেন। কিছু সময় পর দলিল লেখক অস্ত্রধারী আবুল বাসার সাজ্জাদ রেকর্ড রুম থেকে নেওয়া দলিলটি পুনরায় অফিস পিয়ন জলিলের হাতে তুলে দেয় এবং ঘটনাটি কাউকে না জানানোর হুমকী দেয়। জানালে প্রাননাশসহ চাকুরীচ্যূত্য করার ভয় দিয়ে চলে যায়। পরে দলিলটি খুলে দেখা যায়,যে দলিলটি আবুল বাসার জোর পুর্বক অস্ত্রের মুখে ছিনিয়ে বাহিরে গিয়েছিল সেটি একটি আমমোক্তারনামা দলিল। যা গত ১৩ অক্টোবর নিবন্ধন করা হয়েছিল। এতে দলিলের প্রকৃতি পরিবর্তনসহ ৯ নম্বর পাতায় বিভিন্ন বিষয় সংযুক্ত করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রশাসন সুত্র জানায়,উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিবন্ধনের মহাপরিদর্শক ও সহকারী পরিদর্শককে জানানো হয়েছে। এরপর জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সত্যতা পেয়ে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরই প্রেক্ষিতে ১২ নভেম্বর রাতে অফিস সহকারী আবদুস সামাদ বাদী হয়ে মামলা করেন কোতয়ালী মডেল থানায়। বাদী জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে মামলার বাদী করা হয়েছে। বিষয়টি জানতে অভিযুক্ত আবুল বাসার সাজ্জাদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বন্ধ থাকায় সম্ভব হয়নি কথা বলা।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আনোয়ারুল হক জানান, অস্ত্রের মুখে দলিল ছিনিয়ে নেওয়া এবং ঘষামাজার অভিযোগে একজনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ বিষটি তদন্ত করছে।