সোহাগ হোসেন : পটুয়াখালীর দুমকিতে ৫১শয্যার উপজেলা হাসপাতাল সম্প্রসারণের নামে ১৫পরিবারের বসতভিটা অধিগ্রহণ তৎপড়তা বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে উচ্ছেদ আতংকে উদ্বিগ্ন ওই ১৫পরিবারের অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ, কিশোর-যুবা ও তাদের স্বজনরা।গত বুধবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় উপজেলা হাসপাতালের সামনের সড়কে প্রস্তাবিত অধিগ্রহণ সীমার মধ্যে থাকা ১৫পরিবারের অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরী ও তাদের স্বজনরা ১ঘন্টার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আগ্রাসন মনোভাবের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে অধিগ্রহণ তৎপড়তা বন্ধের দাবি করে বক্তৃতা করেন,সৈয়দ হুমায়ুন কবির,আসমা আক্তার নিপা,সৈয়দ জিয়াউল হাসান,ডা.মো. সহিদুল ইসলাম,মো:তৌফিক জোমাদ্দার প্রমুখ।বক্তারা আরও বলেন,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধিগ্রহণকৃত দেড় একর জমি অব্যবহৃত (শূণ্য) ফেলে রেখে সেখানে ভবন না করে আমাদের বসত:ভিটা অধিগ্রহণ করে সেখানে সম্প্রসারণকৃত ভবন করতে চায়? এটা দুরাভিসন্ধিমূলক এবং সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
আমরা অবশ্যই হাসপাতাল সম্প্রসারণ চাই,হাসপাতালের ফেলে রাখা পর্যাপ্ত জমি আছে,প্রয়োজনে ওই জমির পাশে খালি জমি অধিগ্রহণ করে সম্প্রসারণ করুক আপত্তি নেই-তা না করে ১৫টি সাধারণ পরিবারকে উচ্ছেদ করতে বসত:ভিটা অধিগ্রহণ চক্রান্ত কোন ভাবেই বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মীর শহীদুল হাসান শাহীন বলেন,হাসপাতাল সম্প্রসারণে জমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম সরকারি সিদ্ধান্তে হচ্ছে।এখানে আমার ব্যক্তিগত কোন স্বার্থ নেই।ভিন্ন কম্পাউন্ডে জমি অধিগ্রহণ করে মূলভবন সম্প্রসারণ সম্ভব নয়।এমন বাস্তবতায় ৫১শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স’র মূল ভবন সংলগ্ন ৫৮শতাংশ জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে।এতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তারা নিশ্চয়ই প্রতিবাদ কিম্বা তাদের দাবির যৌক্তিকতা তুলতেই পারেন।সেখানে আমার কিছু বলার নেই।চাকুরির সুবাদে আমি আজ এখানে আছি।কাল বদলী করলে অন্যত্র যেতে হবে।সুতরাং এখানে আমার কোন স্বার্থ নেই।সরকার যে ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, সেভাবেই হবে।