কক্সবাজারের পেকুয়ায় রাজাখালী ইউনিয়নের পালাকাটা এলাকার মৃত সিরাজুল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪০)ও মৃত হেদায়াতুর রহমানের ছেলে আবু ছালেক (৩৮) এর মৎস্য ঘের থেকে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মাছ লুঠসহ ঘেরের বাসা ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৮ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) রাত নয়টার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের পালাকাটা গ্রামে এঘটনা ঘটে।
মৎস্য ঘেরের মালিক আবু ছালেক বলেন, গত ২৮ অক্টোবর রাত ৯ টার দিকে বদিউদ্দীন পাড়া এলাকার নাজেম উদ্দিনের ছেলে সুজাঙ্গীর(২৫), ফয়েজ আহমেদের তিন ছেলে কাইছার (৪০) ও বাহাদু মাঝি (৩০) করিম (২৭), আহমদের ছেলে বাবুল (৪০), মুনাফের ছেলে মো.হাসিমসহ একদল সন্ত্রাসীরা লোহার রড়, দা,কিরিচ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাকে ভয় দেখিয়ে আমার মৎস্য ঘের থেকে ১ লক্ষ টাকার মাছ লুঠ করে নিয়ে যায়। এসময় জাহাঙ্গীরের মৎস্য ঘের থেকেও মাছ লুঠ করে নিয়ে যায়। তারা একাধিক মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি। তাদের কারনে আমরা এখন অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। এসব ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে এলাকায় দিন দিন চাঁদাবাজি বেড়ে যাবে।
অপর মালিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তারা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। প্রায় সময় আমাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে থাকে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে গত বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে আবু ছালেক ও আমার ঘের থেকে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মাছ নিয়ে গেছে। এসময় ঘেরের বাসাও ভাংচুর করে। বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি তারা । দিনের বেলায় গোপনে থাকলে রাত হলে সিন্ডিকেট করে নানা অপকর্ম করে তারা।
স্থানীয় আব্দু শুক্কুর বলেন, তাদের নির্যাতনে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। বদিউদ্দিন পাড়া থেকে এই এলাকায় এসে তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আমাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে মৎস্য ঘের থেকে মাছ লুঠ, ঘর বাড়ি ভাংচুর করে। তারা ফাঁকা গুলি বর্ষন করে আতংক ছড়িয়ে এসব অপরাধ করেন এলাকায়।
পেকুয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, মাছ লুঠের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।