গতকাল ২৭ অক্টোবর বুধবার কুমিল্লার লালমাই উপজেলাধীন শানিচৌ পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রা শায়িত হলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এক্স ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি গরীবের আইনজীবী হিসেবে খ্যাত আবদুল বাসেত মজুমদার।
মরহুমের নামাজে প্রথম জানাজা দুপুর ২টায় ঢাকা বনানী। এরপর হেলিকপ্টর যোগে বিকেল পৌনে ৫ টায় হরিশ্চর ইউনিয়ন হাইস্কুল এন্ড কলেজ মাঠে অবতরণের পর উৎসুক জনতা ভিড় জমায় হরিশ্চর স্কুল মাঠে। এরপর ২য় জানাজা বাদ মাগরিব মরহুমের গ্রামের বাড়ী কুমিল্লা লালমাই উপজেলাধীন শানিচৌ প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা-৬ আসনের সাংসদ হাজী আ. ক. ম বাহাউদ্দিন বাহারসহ কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির বিজ্ঞ আইনজীবীগণ, বিভিন্ন পেশাজীবী, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও শুভাকাঙ্ক্ষীসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
উল্লেখ যে, ২৭ অক্টোবর বুধবার সকাল সোয়া ৮ টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করিয়াছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে- দুই মেয়ে, নাতী-নাতনী, পুত্রবধূসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে যান। তাঁর মৃত্যুতে আইন অঙ্গনসহ শানিচৌ গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া।
মরহুমের জানাজায় বক্তব্য রাখেন- কুমিল্লা-৬ আসনের সাংসদ হাজী আ. ক. ম বাহাউদ্দিন বাহার ও তাঁর ছেলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাঈদ আহমেদ রাজা প্রমুখ। রাজা বলেন- আমার বাবার অসুস্থতা বাড়ায় তাকে গত ২৩ অক্টোবর রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যসহ নানা ধরনের জটিলতায় ভুগছিলেন। জানা যায়- আব্দুল বাসেত মজুমদারের জন্ম ১৯৩৮ সালের ১লা জানুয়ারি কুমিল্লার লাকসাম হালে সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন শানিচৌ গ্রামে।
আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আবদুল বাসেত মজুমদার বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি ১৯৬৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।এরপর ১৯৬৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। এরই মধ্যে তিনি তার আইনজীবী পেশায় ৫৪ বছর অতিক্রম করেছেন।