দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে স্কুলের জমি রক্ষা করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের মারপিটে গুরুত্বর জখম প্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে জয়রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম। বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টায় উপজেলার জয়রামপুর মাঠে ঘটনাটি ঘটেছে।
ঘোড়াঘাট থানার দাখিলকৃত এজাহার সুত্রে জানা যায়, বিরোধীয় জমি কবলা দলিল সুত্রে প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘ দিন থেকে জয়রামপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভোগ করে আসছে। যার চলমান জরিপ ও খারিজ বিদ্যালয়ের নামে সম্পন্ন রয়েছে। একই জমি ওয়াক্ফ ষ্টেটের দাবী করে ওয়াক্ফ ষ্টেটের কমিটি বহির্ভূত একই এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি বুধবার দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিদ্যালয়ের জমিটিতে হাল চাষ শুরু করেন।
বিষয়টি একই গ্রামের বসবাসরত জয়রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম সকালে রাস্তা দিয়ে তার ধানের জমি দেখতে যাওয়ার সময় তার দৃষ্টিগোচর হলে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে চাষাবাদে বাঁধা প্রদান করেন। এ সময় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তিরা তাকে এলোপাথারী মারপিট শুরু করলে তার আত্মচিৎকারে গ্রামের লোকজন এগিয়ে এসে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট হাসপাতালে ভর্তি করে। বিষয়টি সম্পর্কে ৯৯৯-এ কে বা কারা ফোন করলে সেখানে তাৎক্ষনিক ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ সঙ্গীয় ফোর্স সহ উপস্থিত হলে প্রতিপক্ষরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সাত্তার সরকার ও একাডেমিক সুপার ভাইজার ধ্বীরাজ সরকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামকে দেখতে যান। পাশাপাশি ঘোড়াঘাট থানার এস,আই খুরশিদ আলম হাসপাতালে আহত প্রধান শিক্ষককে দেখতে গিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় তার বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের মাধ্যমে একটি এজাহার দাখিল করেন। এজাহারের বিষয় জানতে চাইলে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এজাহার পেয়েছি তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ছাড়াও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ঘোড়াঘাট কেসি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান জানান, থানায় এজাহার দাখিলে আমিও সাথে ছিলাম।