রয়েল মিয়াঃ এই শহরে প্রতিনিয়ত মানুষ দৃশ্য’র ভেতর দিয়েই যাচ্ছে।এই সব যাবতীয় দৃশ্য লাইটস,ক্যামেরা, একশনের আলো-ছায়ায় বন্দী করলেন তরুন নির্মাতা ইভান মনোয়ার।
করোনার এই সময়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্হার মধ্য দিয়ে দু’ধাপে শুটিং হলো দ’তে দৃশ্য শর্ট ফিল্মের। প্রথম ধাপে মিরপুরে ইনডোরের কাজ হয়েছে (২৯ এপ্রিল)। দ্বিতীয় ধাপে শেরেবাংলা নগর আগার গাঁও মাঠ; কফি বাজ রেস্টুরেন্ট (পান্থ পথ) ও বিজয় স্মরণী ফ্লাইওভারে সারা রাত শুটিং হয়েছে।
আসলে গল্পটা’ই এমন,একটু অ্যাবসার্ড। চিত্রাঙ্গদা (ইলা)নামের একটি বই ফ্রিক মেয়ে,যার কাজ হলো সবসময় চোখের সামনে বই ঝুলিয়ে রাখা।গল্পের বই পড়তে পড়তে সে দৃশ্য গুলো কল্পনা করতে থাকে;কখনও রোমান্টিক দৃশ্য,কখনও এ্যাকশন এ্যাকশন দৃশ্য। এবং প্রতিটি দৃশ্য হিরো হিসেবে কল্পনা করে কবিরকে (রিও)। দ’তে দৃশ্য’তে চিত্রাঙ্গদা চরিত্রে অভিনয় করেছেন নবাগত অভিনেত্রী ইলা এবং কবির চরিত্রে অভিনেতা রিও। ইতিমধ্যে দ’তে দৃশ্য শর্ট ফিল্মের পোস্টার ও ফার্স্ট লুক টিজার সোশ্যাল মিডিয়াতে পাবলিশ হয়েছে।খুব শীঘ্রই দর্শক প্রমো দেখতে পারবেন বলে জানিয়েছেন নির্মাতা ইভান মনোয়ার।
নতুন হিসেবে ইলা খুব চমৎকার অভিনয় করেছে;রিও’র চরিত্রটি খুব এক্সপেরিমেন্টাল,সে যথাসাধ্য চেস্টা করেছে তার চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে। কথা প্রসংগে দ’তে দৃশ্য’র নির্মাতা ইভান মনোয়ার জানান- গল্পটা অনেকদিন ধরে মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো;আর করোনার মধ্যে আমরা ঠিক করোনা রিলেটেড কোনও গল্প বলতে চাচ্ছিলাম না;তাই দ’তে দৃশ্য’র চিত্রনাট্যটি বেঁছে নিই।গল্পটা’তে থ্রিল আছে, সাসপেন্স আছে, রোমান্টিসিজম আছে।মেকিং ও স্টোরি টেলিং -এ দর্শক নতুনত্ব পাবে।দর্শক খুব পছন্দ করবে ,কারণ দ’তে দৃশ্যর কনটেন্ট তাছাড়া গল্পটিতে দম আছে,যা দর্শকের ভালো লাগবে বলে আশা করছি।এবং গল্পের শেষে অপ্রত্যাশিত টুইস্ট রয়েছে;যা এমুহূর্তে রিভিল করতে চাচ্ছি না।দর্শক স্ক্রিনে দেখবে।দ’তে দৃশ্য-২ ও আমরা খুব শীঘ্রই শূট করবো;চিএনাট্য রেডি হয়ে গেছে ইতিমধ্য।
দ’তে দৃশ্য ‘র পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শেষে এই ঈদে এন্টারটেইনমেন্ট অ্যাপ ‘বিঞ্জ’ -এ আসার সম্ভাবনা রয়েছে।ইভান এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চারস এর ব্যানারে ও মাইন্ড দ্যা গ্যাপ প্রোডাকশন হাউজের নির্মাণে কনটেন্টটি দেখতে দর্শকদের ঈদ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ।