মোঃ তাসলিম উদ্দিন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর গ্রামের বিটঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুর্বপাশে খালে ব্রীজ না থাকায় দূর্ভোগ পোহাচ্ছে শিক্ষার্থীসহ দক্ষিণ ও পশ্চিম পাড়ার মানুষ ৷ শিক্ষার্থীওগ্রামবাসীএকমাত্র ভরসা এ বাঁশের সাকো। সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগীরা জানায়,পানিশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর গ্রামের অন্তত ৬ হাজার মানুষের চলাচলের স্থান এখালের উপরে।বিটঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ও বিটঘর দক্ষিণ পাড়ার সাথে পশ্চিম পাড়ার যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা।এই রাস্তাটি বর্ষাকালে কিংবা গ্রীষ্মকালে যেকোনো সময় যাতায়াতের জন্য বাঁশের সাকো ব্যবহার করতে হয়। এই রাস্তাটির বেহাল দশার কারনে বিটঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা তাদের স্কুলে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। খালের উপর নির্মিত বাঁশের সাকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাত- দিন চলাচল করছে হাজারো গ্রামবাসী। বাঁশের তৈরি সাকোটি পারাপারের একমাত্র ভরসা।একটি ব্রীজ নির্মিত হলে এলাকার ছয় হাজার মানুষওশিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দুর হবে বলে এলাকাবাসী মনে করেন। ওই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী মারিয়া বলেন, আমরা স্কুলে যাই খুব কষ্টে। ফুল থেকে পড়ে বই খাতা বিজে যায়। স্কুলে যাইতে আমরা একটা ব্রীজ চাই-!ভুক্তভোগী হাজী মতিউর রহমান (৭২) বলেন, “আমাদের চলাচল করতে অনেক সমস্যা হয়। বয়স হয়েছে বাঁশের সাকোতে উঠতে ভয় ও কষ্ট লাগে। তাছাড়া পোলাপান স্কুলে যায়। ব্রীজ না থাকায় কষ্ট হয় ওদের। এ খাল পাড় হতে গিয়ে ছোট ছেলে মেয়ে পড়ে বই খাতা পানিতে ভিজে যায়।এলাকার শাহ আলম বলেছেন,বহুদিন যাবত বিটঘর রাস্তার খালের জন্য একটি ব্রীজের কথা বলেছি। বৃষ্টি বা বর্ষা হলে তো সমস্যা আরো বাড়ে।খালে যখন ভরা পানি থাকে অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদেরকে স্কুলে আসতে মানা করে।কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আগে এ খালে যেন অতি তাড়াতাড়ি একটি ব্রিজের সুব্যবস্থা করতে জনপ্রতিনীধি ও কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করি।এখানে ব্রীজ হলে আমাদের স্কুলের ছোট্ট বাচ্চাদের আসা যাওয়ার কষ্ট দূর হবে। ব্রীজ হলেই এলাকার কৃষকের ধান চালসহ বিভিন্ন মালামাল ওপাড়ে নেওয়া সহজ হবে, তাই ব্রীজ চাই” কথাগুলো বলছিলেন বিটঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি (৭০) বছর বয়সী সামছুল ইসলাম ।পানিশ্বর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার মোঃ ইজ্জত আলী বলেন, এ স্থানে ব্রীজ হলে দুই গ্রামের সেতুবন্ধনে মানুষের দুর্ভোগ কমে আসবে।শুধু দু পাড়া না পাশের এলাকার প্রায় ছয় হাজার মানুষ ও স্কুলের সাত-আটশত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাতেদিনে আসা যাওয়া করে। আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় মাঠি রাস্তায় দিলে খালের পানির স্রোতে প্রতিবছরই ভেঙ্গে যায়। গ্রামবাসীর একমাত্র ভরসা’এ’বাঁশের সাকো। আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে বলেছি,এ জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে একটি ব্রীজ নির্মাণ করতে। ব্রীজের জন্য এলাকার মানুষের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নিকট অনুরোধ করি,এলাকার জনস্বার্থে এখানে স্থায়ী সমাধানে বড় একটি ব্রীজ যেন করে দেয়।পানিশ্বর ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতিও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ দ্বীন ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন,কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ এলাকার মানুষের প্রতিদিন যাতায়াতে ভোগান্তি হচ্ছে। এলাকার ভুক্তভোগী মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে ওই স্থানের জন্য একটি পাকা ব্রীজ অতিদ্রুত করে দেয়া হবে।
আক্রান্ত
৫৩০,৮৯০