সিদ্দিকী সুজন : ফেনীতে দত্তক নেওয়া ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে দত্তক বাবার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মেয়েটি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানাগেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ফেনীর দাগনভুঁইয়া উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর মডেল ইউনিয়নের উত্তর গজারিয়া গ্রামে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা মাহমুদুল হক বাচ্চুকে (৫০)আটক করেছে র্যাব -৭ বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান পরিচালনা করে নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয় তাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিজের সন্তান না হওয়ার স্ত্রীর অনুরোধে গত ৯ বছর আগে ৫ বছর বয়সী শিশুটিকে দত্তক নেয় অভিযুক্ত ওবায়দুল হক বাচ্চু ও খোদেজা বেগম দম্পতি। শুরু থেকে সন্তানের মতোই আদর স্নেহ করে আসলেও মেয়েটি বড় হতে হতে তার প্রতি কুনজর পড়ে বাচ্চুর। এক পর্যায়ে কৈশোর বয়স অতিক্রম করতেই ১৪ বছর বয়সী মেয়েটিকে নিয়মিত পাশবিক নির্যাতন করে আসছিলো সে। অন্যদিকে লাজলজ্জার ভয়ে অসহায় মেয়েটি পাষণ্ড পিতা কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হলেও তা কাউকে জানাতে না পেরে একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে৷
জুনের শুরুতে তার দৈহিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেলে গোপনে তার পালক মা ও খালা স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে তাকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেয়েটি ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানান।ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে সর্বত্র নিন্দার ঝড় বয়।পরে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ঘটনাটি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করলে খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রায়হান ভুক্তভোগীর সাথে ও পালক মা খোদেজার সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা জানতে পারেন।তিনি ঘটনাটি সত্য বলে দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
পরে বিষয়টি নজরে আসলে বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত বাচ্চুকে আটক করে র্যাব। আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে র্যাব -৭ ফেনী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মোঃ নুরুজ্জামান বলেন তাকে আইনি প্রক্রিয়া সম্পুর্ণ করে দাগনভুঁইয়া থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান।