শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার বানেশ্বর্দী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।২৫ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যায় বানেশ্বর্দী ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বানেশ্বর্দী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি চাঁন মিয়া বলেন,আমার বয়স ৬৫ বছর।বর্তমান চেয়ারম্যানের মত ভাল জনপ্রতিনিধি আমরা অতীতে আরকোন দিন পাই নাই ও দেখিও নাই।
বানেশ্বর্দী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান বলেন,বর্তমান চেয়ারম্যান আমাদের দলের কান্ডারী।তার পরিবর্তে জনসমর্থন হীন একজন মহিলাকে মনোনয়ন দেওয়ায় আমরা ক্ষুব্ধ,মর্মাহত।তাই মনোনয়ন পরিবর্তন না করলে এই ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আঞ্জুমান আরা বেগম অবশ্যই পরাজিত হবেন।
উপস্থিত বিক্ষোভকারীদের মধ্যে চরকৈয়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিন,পিন্টু,মোতালেব ও বানেশ্বর্দী গ্রামের আবু,মনির,খোকন,স্বপন ও আওয়ালসহ অনেকেই বলেন,আমরা এ মহিলাকে চিনি না।আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পুন:বিবেচনা করার দাবী জানাচ্ছি।নৌকার মনোনয়ন বাতিল করে বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাজহারুল আনোয়ার মহব্বতকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে পেতে চাই।
নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাজহারুল আনোয়ার মহব্বত বলেন, আমি আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে দুই বার চেয়ারম্যান হয়েছি।জানামতে চেয়ারম্যান হিসেবে আমার কোন ব্যার্থতা নেই,ব্যার্থ হলাম শুধু মনোনয়নের ক্ষেত্রে।আমি বিষয়টি পুনঃবিবেচনার দাবী জানাচ্ছি।
এব্যাপারে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন,আমার স্বামী মরহুম আনিছুর রহমান এই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান ছিলেন।আমি উপজেলার আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা পরিষদের সদস্য।আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান।তিনি বলেন,দল সবকিছু যাচাই-বাছাই করে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে।মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে একটি পক্ষ লোকজন দিয়ে বিক্ষোভ করাচ্ছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ বলেন,আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মনোনয়ন চেয়েছেন অনেকেই।পেয়েছেন একজন।মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমেই অনেক যাচাই বাছাই করেই মনোনয়ন দিয়েছেন।কারো ব্যক্তিগত মতবিরোধ থাকতেই পারে।