টাঙ্গাইলের সখীপুরে সক্রিয়তার জানান দিচ্ছে কিশোর গ্যাং।ইদানিং কিশোর গ্যাং শুধু নয়,ক্লাবের বা সংঘের নামে বিভিন্ন সংকেতে উঠতি বয়সী বখাটেরা তাদের অপকর্ম তৎপড়তা চালানোর চেষ্টা করছে।গত ১৬ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের আমির আলী খানের ছেলে পিএম পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী রোকনে মাথায় হাতুড়ি পেটা করে গুরুতর আহত করে জুনিয়র এফসি কিশোর গ্যাংয়ের ৪ সদস্য।
তার আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রাজিয়া সুলতানা দৈনিক কালজয়ীকে জানিয়েছিলেন,আহত রোকনের মাথায় গুরুতর জখম এবং ফেটে যাওয়ার কারণে ৯টি সেলাই দেওয়া হয়েছিলো।
এ ঘটনায় রোকনের বড় ভাই হাতেম খান এফসি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য অভিযুক্ত নাহিদ হাসান (১৫),সাঈম হাসান (১৭) মেহরাব সিকদার (১৮) এবং রাকিব হাসান (১৮) নামে সখীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।সখীপুরে একদিনের মাথায় পৃথক দুটি হামলার ঘটনায় কিশোর গ্যাং সক্রিয়তা বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।
এ ঘটনার রেশ ধরে একদিনের মাথায় গত ১৭ অক্টোবর রবিবার বিকেলে পৌরসভার আশরাফ পাহাড়ির মার্কেটের সামনে হাতুড়ি পেটার শিকার আহত রোকন খানের গ্যাংয়ের সদস্যরা, এফসি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের মুন্না সিকদারের ছেলে,সরকারি মুজিব কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মেহেরাব সিকদার (১৯) কে প্রকাশ্যে চাপাতি আর খোর দিয়ে এলোপাথারীভাবে কুপিয়ে শরীরের ২২টি স্থানে জখম করে।
মুমূর্ষু অবস্থায় বাজারের ব্যবসায়ীরা মেহরাবকে উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে।একই হাসপাতালে পৃথক দুটি হামলার শিকার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য রোকন খান এবং মেহরাব সিকদার চিৎিসাধীন রয়েছে।এ ঘটনায় গত ১৮ অক্টোবর সোমবার রাতে হামলাকারী মাহমুদুল হাসান মামুন (২০),সুবুজ (১৯),শিমুল (১৯) লোহান মিয়া (১৮),সিয়াম মিয়া (১৯),জিহাদ (১৮),সাগর মিয়া (১৯)সহ অজ্ঞাত নামে মামলা করেছেন মেহরাব সিকদারের বাবা মুন্না সিকদার।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নাজমুল হাসান মাসুদ দৈনিক কালজয়ীকে আহত রোকন খান এবং মেহরাব সিকদার সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একে সাইদুল হক সাথে এই বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে মামলা হওয়ার বিষয় স্বীকার করে দৈনিক কালজয়ীকে জানান,অচিরেই অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছ।