শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পলাশিকুড়া নিভৃত পল্লীর পতিত এক বাড়িতে নিয়ে ৯ অক্টোবর শনিবার দিবাগত রাতে মা-মেয়েকে সাতজন মিলে পালাক্রমে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে নালিতাবাড়ী থানার পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন আগে শেরপুর সদর উপজেলার বারঘরিয়া গ্রামের জনৈক গৃহবধূ ও তার কিশোরী (১৬) কন্যাকে সাথে নিয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলার পলাশিকুড়া গ্রামে বাবার বাড়ি বেড়াতে যান।
এরপর শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারা অটোবাইকে করে শেরপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে তার বাবার বাড়ি থেকে বের হন। এসময় ওই গৃহবধূর দুই প্রতিবেশি ভাই মা-মেয়েকে সাথে নিয়ে ঘোরাফেরার কথা বলে সারাদিন নালিতাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ঘোরাফেরা করে এবং রাতে পুনরায় পলাশিকুড়া গ্রামে নিয়ে যায়। পরে তাদের কৌশলে ঢাকায় বসবাসকারী জনৈক উসমানের নির্মাণাধীন জনশুন্য পতিত বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে সেখানে নেওয়ার পর স্থানীয় ৭ ব্যক্তি মিলে মা এবং মেয়েকে বাড়ির পৃথক স্থানে নিয়ে রাতভর পালাক্রমে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
১০ অক্টোবর রোববার সকালে ধর্ষণের শিকার মা-মেয়ে পলাশিকুড়া বাড়ি ফিরে ঘটনা প্রকাশ করলে স্বজনেরা ট্রিপল নাইনে কল করেন। পরে নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বছির আহমেদ বাদলের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত সাত্তার (৪৫) এবং অভিযুক্ত সাদেক আলী (৩০) কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এঘটনায় ধর্ষিতা গৃহবধূ বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় জড়িত সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, সকালে ট্রিপল নাইন থেকে ম্যাসেজ আসার সাথে সাথে আমরা অভিযান চালিয়ে জড়িত দুইজনকে আটক করি। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের ও ভুক্তভোগী মা-মেয়েকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।