একসঙ্গে পল্লী বিদ্যুতের হাইভোল্টেজের ১২টি খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় বিদ্যুৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।অল্পের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি থেকে রক্ষা পেয়েছেন এলাকাবাসী।শনিবার রাত ১টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রোববার বাইপাস এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী মোঃ মাসুদ মিয়াসহ একাধিক ব্যক্তি জানান,ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাসের উত্তর পাশে বংশাই রোডের দুই পাশে ড্রেন নির্মাণের উদ্যোগ নেন মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ।পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগকে না জানিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মহাসড়কের উত্তর পাশে ড্রেন নির্মাণের জন্য মাটিকাটার খনন যন্ত্র (ভ্যেকু) দিয়ে গত কয়েক দিন ধরে গর্ত করতে থাকেন।
খুঁটির আশপাশে থেকে মাটি সরানোর ফলে বিদ্যুতের খুঁটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।শনিবার রাত ১টার দিকে হঠাৎ করে একসঙ্গে ১২টি খুঁটি ভেঙে বিকট শব্দের সৃষ্টি হয় এবং খুঁটিতে আগুন ধরে যায়।আশপাশের লোকজন ঘুমন্ত অবস্থায় ঘটনাটি টের পেয়ে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ,হাইওয়ে ও থানা পুলিশকে খবর দেন।ঘটনার পর পরই পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্ধকার নেমে আসে।
রোববার সকাল থেকেই টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১-এর মির্জাপুর ও গোড়াই জোনাল অফিসের শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ভেঙে পড়া রাস্তার ওপর থেকে খুঁটি সরানোর কাজ শুরু করেছে।কবে নাগাদ বিদ্যুৎ যোগাযোগ সচল হবে তা কেউ সঠিক করে বলতে পারছেন না।এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।এ ব্যাপারে সড়ক বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,খুঁটি ভেঙে যাওয়ার পর পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১-এর মির্জাপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম মোঃ জাকির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক কালজয়ীকে বলেন,মহাসড়কের পাশ দিয়ে হাইভোল্টেজের বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন করা হয়েছে।ড্রেন নির্মাণের জন্য মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ তাদের না জানিয়ে খুঁটির নিচ থেকে মাটি কেটে সরিয়ে নিয়েছে।লোড না থাকার কারণে রাতে একে একে ১২টি খুঁটি ভেঙে পড়েছে।নতুন খুঁটির ব্যবস্থা করে লাইন সচল করার চেষ্টা চলছে।