এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী।বয়স ১৫।হঠাৎ করে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়ে গেছে লাভনী আক্তার।চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইল গোপালপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নে নঠুরচর পশ্চিম পাড়া গ্রামে।গত শুক্রবার সকাল থেকে এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়া লাভনী আক্তারকে এক নজর দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ ভিড় জমাচ্ছে তাদের বাড়িতে।
শনিবার সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বাড়িতে কয়েক হাজার উৎসুক মানুষের ভিড়।সবাই কৌতূহল নিয়ে লাভনীকে দেখছে।প্রতিবেশীরা জানান,বেশ কয়েকদিন আগেই তার পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।তার বাবা লাভলু মিয়া জানান,তার মেয়ে এবার হাতেম আলী বিএল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেবে।গত বৃহস্পতিবার তিনি স্ত্রীর কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারেন।তিনি জানান,লাভনী তার মাকে প্রথম বিষয়টি জানায়।
শুক্রবার থেকে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মুখে মুখে চারিদিকে জানাজানি হয়ে যায়।এরপর থেকেই দিনরাত মানুষ ভিড় করছে তাকে দেখার জন্য।এখন তার শারীরিক গঠন পুরুষের মতো।এছাড়া চেহারাতেও কিছুটা পরিবর্তন এসেছে।লাভনীর বাবা আরও বলেন,ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ার পর তার নাম রাখেন আব্দুলাহ জিসান।মেয়ে থেকে ছেলে বনে যাওয়া লাভনী আক্তার জানায়,সে চার-পাঁচ মাস আগে থেকেই এমন কিছু ঘটছে বলে আন্দাজ করতে পারে।কিন্তু লোক-লজ্জায় তখন কিছু বলতে পারেনি।
তার গৃহিনী মা পারভিন আক্তার জানান,ছয় মাস আগে লাভনী আক্তারের বিয়ে ঠিক করা একই উপজেলার মাকুলা গ্রামে।তখন লাভলী আক্তার বিয়ের অসম্মতি প্রকাশ করে।তার রুপান্তরিত হওয়ার ঘটনাটি বললে তিনি বিশ্বাস করেননি।পরে তিনি সবকিছু দেখে শুনে বিশ্বাস করেন।তিনি বলেন,আল্লাহ তাকে মেয়ে থেকে ছেলে বানিয়ে দিয়েছে।আগে তাদের ২ মেয়ে ছিল।এখন ১ ছেলে ও ১ মেয়ে হওয়ায় তারা খুশি।
এ বিষয়ে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলিম আল রাজি বলেন,আমাদের দেশে মাঝে-মধ্যেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।এটা সাধারণত হরমোন পরিবর্তনের কারণে ঘটে।