হৃদয় এস সরকারঃ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও নরসিংদী বাজারে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। লকডাউন উপেক্ষা করে সামাজিক দূরত্ব না মেনে ক্রেতা ও বিক্রেতারা বেচা-কেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। নেই সামাজিক দূর্রত্ব, মানচ্ছেনা কোন সাস্থ্য বিধি।
নরসিংদী শহরের সবচে বড় বাজার নরসিংদী বাজার। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) নরসিংদী বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেলো মসজিদ মার্কেট, সবজি বাজার, মাছ বাজার, পিয়াঁজ পট্রি, ফল পট্রি, দুধ পট্রিসহ সম্পূর্ণ বাজার জুড়ে মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। সামাজিক দূরত্ব দূরের কথা। অনেকে তাদের বাচ্চাসহ চলে এসেছে বাজারে। অনেকেই আবার দেখা গিয়েছে মাস্ক বিহীন গাদাগাদি করে চলাফেরা ও কেনাকাটা করতে। এতে করে প্রশাসনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা খুব একটা কাজে আসবে না বলে মনে করেছে বিশেষজ্ঞরা।
প্রতিদিন পুলিশ ও সেনাবাহিনী পক্ষ থেকে ভিড় এড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হলেও বাজারের ক্ষেত্রে মানছে না মানুষ। গেল শুক্রবার ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত জেলায় মোট ৯২ জন ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পরও বাজারের আসা মানুষ এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ করছেন। এর আগে জেলা পুলিশ থেকে বাজারে মাইকিং, লিফটের বিতরণসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্যে বাজারের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বৃত্ত এঁকে দিলেও সামাজিক দূরত্ব ভেঙে সেখানে মানুষ জমায়েত হচ্ছে।
বাজারের বিক্রেতারা জানান, ক্রেতাদের তারা সচেতন করছে দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করতে বলছেন। তবে তারা তা মানচ্ছেনা। কিন্তু বাজারে অধিকাংশ বিক্রেতা নিজেরাই সচেতন নয়। তাদের হাতে হ্যান্ড গ্লাভস নেই। সবজিসহ অন্যান খাদ্যদ্রব খালি হাতে অপরিষ্কার ভাবে বিক্রি করছে। অনেকের মুখে আবার মাস্কও নেই। তাদের দোকানের সামনেই মানুষের জনসমাগম বেশী দেখা গিয়েছে।
এ বিষয়ে নরসিংদী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো: বাবুল সরকার দৈনিক কালজয়ী কে বলেন, করোনা প্রতিরোধে বাজারে প্রতিদিন ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সচেতন করে যাচ্ছি। প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী সবজির বাজারকে স্থানান্তরিত করে খোলা মাঠে নেওয়া হয়েছে। তারপরও মানুষ এক জায়গায় জড়ো হয়ে গাদাগাদি করে বাজার করেছে। ব্যবসায়ীরা সচেতন থাকলেও ক্রেতারা সচেতন হচ্ছে না।