হাঁটু সমান পানি মাড়িয়ে যাচ্ছেন ঐ পুরুষ।মঙ্গলবার সরাইল উপজেলা ক্যাফে সামাদ রেস্টুরেন্ট পশ্চিম পাশে বাড়ি প্রধান রাস্তার ছবি।উপজেলার বাড্ডাপাড়া গরু বাজারে পাশে এই গৃহিণী পানিতে দাঁড়িয়েই আছে।পানি উঠেছে বাড়ির উঠানে গরু বাজারে ছবি।সরাইল উপজেলা বেশিরভাগ সড়কে পানি নিষ্কাশনের নালা নেই,যা আছে তাও মাটি-বালিতে ভরাট হয়ে গেছে।তাই হালকা বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় এলাকার রাস্তাঘাট,পানি ঢুকে পড়ে ঘর-দোকানে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন,পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় প্রতি বছর বর্ষায় ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের।তার মাঝে বড্ডা পাড়া গরু বাজার হতে হারু ডাক্তার এর বাড়ি হয়ে সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পুর্ব পাশে খাল দিয়ে পানি চলাচল করতো।এইসব খাল ভরাট করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে।যার জন্য রাস্তা সহকারি বাড়ির মানুষ পানিবন্দি।
গেল সপ্তাহে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কোমর সমান পানি মাড়াতে হয়েছে সরাইল অন্নদা মোড়এলাকার রাস্তায় চলতে।কারও কারও ঘরে ঢুকে গেছে ময়লায় ভরা দুর্গন্ধময় পানি।বড্ডা পাড়ার এক বলেন,কি বলবো,একটু জায়গা যে প্রশাসন দেখা না?আমরা বলতে হবে।দিন দুপুরে হাসপাতালের পুর্ব পাশের সরকারি রাস্তা দখল কলে বাড়ি ঘর করেছে।আমরা এসব বলে আর শত্রুতামি বাড়ানোর দরকার নাই পানির উপরে কষ্ট করি এটি ভালো।
পানি উঠেছে বাড়ির উঠানে।আজ মঙ্গলবার বড্ডা পাড়া থেকে তোলা ছবি।পানি উঠেছে বাড়ির উঠানে।আজ গরুবাজার বড্ডা পাড়া রাস্তা থেকে তোলা ছবি।মঙ্গলবার ৫ অক্টোবর সরাইল সদর অন্নদা মোড়,বড্ডা,মোল্লাবাড়ি এলাকা ঘুরে প্রায় সব সড়কেই পানি জমে থাকতে দেখা যায়।পানি উঠে যায় অনেক বাড়িঘরে।এসব এলাকার কয়েকটি সড়কে পানি জমে ছিল।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মোড় এলাকায় ক্যাফে সামাদ হোটেলে গিয়ে দেখা যায়,ক্যাফে সামাদ হোটেলে পানি জমে গেলে বালতি দিয়ে পানি সেচের কাজ করতে দেখা যায়।রাস্তায় পানি জমে আছে।অনেক বাড়ির নিচতলায়,দোকানে পানি উঠেছে।পানির কারণে এসব এলাকায় যান্ত্রিক বাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।এলাকায় যাতায়াতের একমাত্র বাহন হয়ে ওঠে রিকশা।বড্ডাপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়,উঠান-বারান্দা ছাপিয়ে পানি ঘরে উঠে গেছে।
পানিতে দাঁড়িয়েই আছে রান্না করার চেষ্টা গৃহিণী।তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন,কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পানি ঘরের ভেতরে চলে এসেছে।রান্না করতে হচ্ছে ঘরে ছোট্ট বাচ্চা রয়েছে কিভাবে যে পাকের ব্যবস্থা করতে।মঙ্গলবার পানি জমে আছে অন্নদার মোড়বাজার রোডে।পানির কারণে বাড়িতে রান্না বন্ধ হওয়ার কথা জানান আরে চার পাঁচ।নুরুল ইসলাম জানান,এই খালে অনেকই দখল করেছেন দুই একজনের কারণে খালের মধ্যে মাটি বা পাথর ফেলে বন্দ করে।তাই পানি নিষ্কাশন হয় না।
এ ব্যপারে সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারহানা নাসরিন বলেন,সরকারি খাল দখলে কোন প্রকার অজুহা চলবেনা।সরকারি খাল উদ্ধারে অতি দ্রুত সময়ে মধ্যে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) মোঃ আরিফুল হক মৃদুল বলেন,কোনোভাবেই খাল দখল করে পরিবেশের ক্ষতি করা যাবে না।কিছু আইনি জটিলতা আছে তবেও উপজেলা গুরুত্ব সব খাল অতিসত্বর দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত করা হবে।শিগগিরই দখলদারদের উচ্ছেদের মাধ্যমে খালের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা হবে।