সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে যৌতুকের দাবি মেটাতে অক্ষম হলে স্ত্রীকে বিষপানে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,গত দু’বছর আগে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের মধ্য কলাউড়া গ্রামের নজির আহমদের পুত্র নূর মোহাম্মদ ও একই ইউনিয়নের ডালিয়া গ্রামের আব্দুল মমিন মিয়ার মেয়ে আছমা আক্তার পরস্পরকে ভালোবেসে বিয়ে করেন।বিয়ের কিছুদিন না যেতেই যৌতুকের দাবিতে তাদের সংসারে শুরু হয় সম্পর্কের টানাপোড়ন।
স্ত্রী আছমার উপর চলে স্বামী নুর মোহাম্মদসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।এরই ধারাবাহিকতায় কিছুদিন আগে ফার্নিচার আনতে আছমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে নূর মোহাম্মদ ও তার মা হালিমা আক্তার।মেয়ের বাবা মমিন মিয়া মেয়ের উপর নির্যাতনের চাপ কমাতে বসতভিটার কিছু অংশ বিক্রি করে জামাতাকে ফার্নিচার কিনে দেন।গত ১৫ আগস্ট নুর মোহাম্মদ সৌদি আরব যাবে বলে নগদ দুই লক্ষ টাকা নিয়ে আসতে আছমাকে তার পিত্রালয়ে পাঠায়।
আর্থিক দৈন্যদশার কারণে দাবি আদায়ে ব্যর্থ হলে আছমা আক্তারকে দু’দিন অনাহারে রেখে ক্রমাগত নির্যাতন চালানো হয় তার উপর।এতে আছমা অজ্ঞান হয়ে যায়।ওই সুবাদে পানির সাথে বিষ মিশিয়ে তাকে পান করানো হয়।বিযয়টি জানাজানি হলে প্রতিবেশীরা তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।আছমার পিতা আব্দুল মমিন আইনের দ্বারস্থ হলে তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হয়।
সম্প্রতি আছমা আক্তার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ১১(ক) / ৩০ ধারায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।বিজ্ঞ আদালত মামলাটি দোয়ারাবাজার থানায় পাঠান।দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর বলেন,তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।