কুমিল্লা দাউকান্দি উপজেলার শাহপুর গ্রামের আল আমিন এর পুত্র ৮ম শ্রেণীর ছাত্র আশরাফুল আমিন(১৫) গত ১৬ সেপ্টেন্বর নিখোঁজ হন।নিখোঁজের ১দিন পর ১৭ সেপ্টেন্বর দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর দৈয়ারা গ্রামের স্থানীয় মাছের প্রজেক্ট হতে নাখে ও মুখে কসটেপ পেছানো লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
নিহত আশরাফুল আমিন(১৬) এর পরিবার সূত্রে জানা যায়-করোনাকালে বাবা আল আমিন এর পক্ষে পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হতো। সে সুবাধে ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া আশরাফুল আমিন(১৫) দরিদ্র পরিবারের হাল ধরতে অটো রিক্সা চালানোর সিদ্বান্ত নেন।এদিকে-নিহত আশরাফুলের অটো রিক্সাটি ছিনতাইয়ের জন্য পরিকল্পনা করে হত্যাকান্ডে জড়িত তিনজন।
হত্যাকারী তিনজন হলেন-১.সাইদুল ইসলাম(১৯),পিতা: মৃত.শফিকুল ইসলাম,সাং:-সরকারপুর(মসজিদ মার্কেট),২. কিশোর চন্দ্র সাহা(১৮),পিতা: মন্তুস সাহা,সাং: বুলিরপাড়, উভয় থানা: দাউদকান্দি,৩. রিফাত হোসেন(১৮),পিতা: আব্দুল হালিম, সাং: সাতগাঁও,থানা: চান্দিনা,উভয় জেলা: কুমিল্লা।
কুমিল্লা র্যাব-১১ সিপিসি-২ কার্যালয়ে র্যাব-১১এর কোম্পানি অধিনায়ক লে: কর্নেল তানবীর মাহমুদ পাশা,পিএসসি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন-হত্যাকান্ডে জড়িত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়-তারা তিনজন নিহত আশরাফুল(১৫)এর অটো রিক্সা ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে এ বর্বর হত্যকান্ড ঘটিয়েছে।
নিহত আশরাফুল(১৫) পরিবারের হাল ধরতে ভাড়ায় অটো রিক্সা চালানোর সিদ্বান্ত নেন।আটককৃত হত্যাকারী ৩জন প্রথমে অটো চালক আশরাফুল(১৫)এর নাখে মুখে কসটেপ পেছিয়ে হত্যাকান্ড ঘটায় এবং নিহতকে মাছের প্রজেক্টের নিকট ফেলে অটো রিক্সা নিয়ে চলে যায়।এ ঘটনায় নিহত আমরাফুল(১৫)এর পিতা আল আমিন বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
এবিষয়ে কুমিল্লা র্যাব-১১ গত কয়েকদিন ধরে র্যাব হেডকোয়ার্টাসের সহযোগিতায় বুধবার রাতে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হন।র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর উপ পরিচালক মেজর সাকিব হোসেন জানান-হত্যাকারীদের মতো সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।