চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপকূলের জেলের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রুপালি ইলিশ।এতে প্রাণচাঞ্চল্য মাছঘাটজুড়ে।বিভিন্ন সাইজের ইলিশের ক্রয় করতে সমুদ্রের উপকূলবর্তী এলাকার ঘাটগুলোয় ভিড় করছেন লোকজন।ক্ষতিকর উপাদান ও বরফ ছাড়া ঘাটে জেলেদের কাছ থেকে মাছ কিনতে পেরে এ৷পড়েছেন ইলিশের মৌসুমি ব্যাপারীরা।
উপজেলা মৎস্য অফিস জা ঘাটে ২৮০টি,সাত্তার মাঝির ঘাটে ৪৫টি,ফকিরহাটে ১৭০টি,গলাকাটা ঘাটে ৩৫টি, পিচের মাথায় ৩৫টি ও বাছা মাঝির ঘাটে ৪০টি।অন্য নৌকাগুলো পারকি ও জুঁইদণ্ডী এলাকার।উপকূলের প্রায় দশ হাজারের বেশি জেলে।ইলিশ ধরছেন গভীরসমুদ্রে।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,সমুদ্রের উপকূলে উঠান মাঝির ঘাটে ও সাত্তার মাঝির ঘাট দুটি ঘুরে দেখা যায়,ইলিশ কিনতে সেখানে ভিড় করছেন মাছ ক্রয় করতে।এখন বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক মানুষ মাছ কিনতে আসে ও মৌসুমি ইলিশ ব্যবসায়ী আসে ঘাটে।এতে কিছুটা বেশি দামে মাছ বিক্রি করতে পারি আমরা।তবে যাদের দাদন নেওয়া আছে,তাদের দাদনদারের হাতেই কম দামে মাছ তুলে দিতে হয়।
ইলিশ মাছ ব্যবসায়ী মোঃ ফোরকান জানান,পূর্ণিমা ঘিরে বঙ্গোপসাগরের প্রচুর পরিমানের ধরা পড়ছে রুপালি ইলিশ।ছোট বড় সকল সাইজের ইলিশ আছে।ক্রেতারা যে সাইজের ইলিশ চাইলের পাবে দাম একটু ভিন্ন।আড়তদার শেখ আবদুল্লাহ জানান,১০০০ থেকে ১৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ ১ হাজার টাকা,৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭০০ টাকা।ঝাটকা ইলিশ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।
স্থানীয় জেলেরা জানান,একদিক করোনা ভাইরাস অন্য সরকারী নিষেধাজ্ঞা শেষের বঙ্গোপসাগরে ইলিশ মাছ না পেয়ে হতাশ হয়ে ছিলাম।বিশেষ করে অমাবস্যা ও পূর্ণিমা ঘিরে ইলিশ প্রচুর পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে।এ বিষয়ে উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রাশিদুল হক বলেন,এই মৌসুমে আজব্দি প্রায় ১শ টন মতো আনোয়ারার উপকূল থেকে ইলিশ সংগ্রহ করা হয়েছে।