ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের বিশাল এলাকাজুড়ে নতুন ও পুরাতন সড়কের মাঝে অবস্থিত ডিভাইডারে চাষ হচ্ছে শীতকালীন নানা জাতের সবজি।মহাসড়কের পাশে অবস্থিত সাধারণ কৃষকরা ডিভাইডার পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে মুলা,পালং শাক,লাল শাক,মিষ্টি কুমড়া ও ধনিয়া পাতাসহ শীত কালিন বিভিন্ন সবজির চাষাবাদ করছে।দূর থেকে দেখলে মনে হয়-মহাসড়কের বুকে এ যেন লাল-সবুজের সমাহার।
মহাসড়কের উপজেলার সুজাতপুর এলাকার তেমনই একজন সবজি চাষী মোঃ আহসান।তিনি জানান,আমি পেশায় একজন কাঠ মিস্ত্রী।মহাসড়কের মাঝখানের ডিভাইডারের মাটিগুলো অত্যন্ত উর্বর।সড়কের পাশের ডিভাইডারে এক শতক জায়গায় উপরে আমি শীতকালিন সবজি মূলা,পালং শাক,লাল শাক,মিষ্টি কুমড়া ও ধনিয়া পাতার চাষ করেছি।এরই মধ্যে কিছু মূলার শাক বিক্রি করেছি।পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাকিগুলো বাজারে বিক্রি করে সংসারের কিছু চাহিদা পূরণ করতেছি।
সবজি চাষী আহসান থেকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে একই এলাকার মোস্তফা,আবদুল হক ও মোজাম্মেল নামে আরও কয়েকজন এ ডিভাইডারের উপর সবজি চাষাবাদ করছেন।মোস্তফা জানান,ডিভাইডারের উপর ঘাসগুলো পরিস্কার করে আমি শীতকালিন সবজি চাষাবাদ করছি।এতে আমরা অনেক আনন্দিত।তবে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ পেলে সবজির ফলন আরও ভালো হবে।
মহাসড়কের মাঝখানে লাল-সবুজের এ দৃশ্য দেখতে অনেক চালক গাড়ি থামায়।অনেকে আবার সবজি ক্রয় করে নিয়ে যায়।কথা হয় সবজি ক্রয় করা কভার্ডভ্যান চালক মোঃ রনি জানান,সবজিগুলো দেখতে অত্যন্ত ভালো।কোন প্রকার কীটনাশক প্রয়োগ ছাড়াই এসব সবজি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার হবে।এ ছাড়াও মহাড়কের গাংরা,মিয়াবাজার সহ প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকায় এই সবজি চাষ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সোমবার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন,মহাসড়কের মাঝখানের ডিভাইডারে সবজি চাষের সংবাদটি ভালো খবর।আমি ইতিমধ্যে মাঠ কর্মিদের বলেছি এই কৃষকদের তালিকা তৈরি করতে।আমি তাদেরকে সবজির বীজ প্রদান করবো এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো।