সরকারি পুকুর খনন করে লুটে নেয়া খনিজ বালু বোঝাই ইঞ্জিন চালিত ট্রলার আটকের পর তা অস্বীকার করলেন পুলিশের এএসআই। অভিযোগ উঠেছে, বালু বোঝাই ট্রলার আটকের আধাঘন্টা সময়ের ব্যবধানে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে রফাদফার পর বালু লুটকারীকেই ফের ট্রলার ফেরত দিয়ে আসেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শহিদুল ইসলাম।শুক্রবার সন্ধায় জানতে চাইলে থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শহিদুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে আমি জাদুকাটা নদীর আর্দশ গ্রাম সংলগ্ন পুকুর এলাকায় কোন অভিযানেই যাইনি, আমি কোন বালু বোঝাই ট্রলার আটক করিনি।
শুক্রবার সন্ধায় একই প্রসঙ্গ জানতে চাইলে তাহিরপুর থানার বাদাঘট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই জয়নাল আবেদীন বলেন, উপজলার জাদুকাটা নদীর তীরে ঘাগটিয়া আর্দশ গ্রামের পুকুর খনন করে খনিজ বালু লুটে নেয়ার বিষয়টি বৃহস্পতিবার রাতে এলাকার লোকজন জানানোরপর এএসআই শহিদুল ইসলাম সহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে ওই এলাকায় অভিযানে পাঠিয়েছিলাম।,
শুক্রবার সন্ধায় উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের এনামুল,শামসুজ্জামান সহ একাধিক লোকজন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ৬টি ট্রলার আদর্শ গ্রামের সরকারি পুকুরে থাকা খনিজ বালু লুটে নিতে আসে। এরপর বিষয়টি বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করা হয়। রাত ২টার দিকে এএসআই শহিদুল ইসলাম সহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য পুকুর এলাকায় ্এসে প্রায় ৫০০ ঘনফুট খনিজ বালু বোঝাই কয়েক লাখ টাকা মুল্যের একটি ষ্টিল বডি ট্রলার আটক করেন।
এলাকার লোকজনের অভিযোগ, গত তিন মাসের অধিক সময় ধরে প্রায় রাতেই জাদুকাটা নদীর বড়টেক,ঘাগটিয়া আর্দশ গ্রামের জাদুকাটা নদীর তীর,আর্দশ গ্রামের সরকারী পুকুর হতে খনিজ বালু পাথর অবৈধ ভাবে খনন করে লুটে নিয়ে অনত্র বিক্রি করছেন গ্রামের কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যাক্তি। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করলে সাথে সাথে অভিযুক্তদের নিকট উল্টো তথ্য ফাঁ^স করে দিয়ে আর্থীক সুবিধা নিচ্ছেন এএসআই শহিদুল।,