চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় সনদ জালিয়াতি করে মৃত মুক্তিযোদ্ধা বাবার ভাতার টাকা ভোগ করা নিয়ে দন্ধে মাকে ছিনিয়ে নেয়ার সময় বাঁধা দেয়ায় ইদ্রিস তালুকদার (৫৮) বড় ভাইকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে ছোট ভাই।ছোট ভাইয়ের হামলায় বড় ভাই গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।২৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিকেলে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ২ নং বালিথুবা ইউনিয়নে ৫ নং ওয়ার্ডের তালুকদার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
আহত মোহাম্মদ ইদ্রিস তালুকদার জানান,তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জয়নাল আবেদীন গত ১৩ বছর পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন।আমরা চার বোন দুই ভাই।গর্ভধারিনী মা বেঁচে আছেন তিনি আমার সাথেই রয়েছেন।কিন্তু অন্য ভাইবোন ও মাকে না জানিয়ে বিগত ১৩ বছর ধরে মৃত মুক্তিযোদ্ধা বাবার ভাতার টাকা তারই ছোট ভাই হুমায়ুন কবির তালুকদার উত্তোলন করে ভোগ করে আসছেন।বাবার ভাতার টাকার বিষয়ে আমার মা আছিয়া বেগম এবং আমরা অন্যকোন ভাই-বোনরা কিছুই জানিনা।
আমি আমার ছোট ভাই হুমায়নকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে ভাতা উত্তোলনের বিষয়টি সম্পর্ন অস্বীকার করেন।পরবর্তীতে আমার মা আছিয়া বেগম এ বিষয়ে ব্যাংকে এবং ফরিদগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দিলে ভাতার টাকা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়।এজন্য অভিযুক্ত হুমায়ুন কবির ক্ষিপ্ত হয়ে মা এবং আমাকে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেন।
এতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে পার্শ্ববর্তী লোকজন উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর প্রিমিয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।আহতের মা আছিয়া বেগম প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও গুরুতর আহত অবস্থায় ইদ্রিস তালুকদার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত ইদ্রিস তালুকদার ও তার ছেলে আল আমিন আরো জানান,অভিযুক্ত হুমায়ুন কবির এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছে এবং পৈত্রিক সম্পত্তি মা ও ভাইবোনদের না দিয়ে জোরপূর্বক দখল করেন।এছাড়াও পূর্বে অনেক সম্পত্তি সে বিক্রি করে ফেলেছেন বলেও জানান তারা।এমনকি গত কয়েক বছর পূর্বে ইদ্রিস তালুকদারের একটি মেয়েকে অভিযুক্ত হুমায়ন পারিবারিক বিষয়ে মারধর করলে তার মেয়ে রাগে অভিমানে আত্মহত্যা করেও বলে তাদের অভিযোগ।
এসব বিষয়ে আহত ইদ্রিস তালুকদার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।এ বিষয়ে অভিযুক্ত হুমায়ুন তালুকদারের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি এ মারামারির ঘটনা অস্বীকার করেন।তিনি বলেন-অভিযোগ গুলো সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং মিথ্যা।আমি আমার ভাইকে আঘাত করিনি।এগুলো একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান এইচএম হারুন বলেন-ইদ্রিস তালুকদার আহত হয়েছেন এটা আমি জেনেছি,ওনাকে চিকিৎসার নেওয়ার জন্য বলেছি পরবর্তীতে বিষয়টি ভালোভাবে জেনে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।