কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অরক্ষিত রেলক্রসিং ও অনুমোদনহীন রেলক্রসিংগুলো যেন এক মরণফাঁদ।অরক্ষিত রেলক্রসিং গুলোতে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে মানুষসহ বিভিন্ন প্রকারের যানবাহন।এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে এবং বাড়ছে মৃত্যু।তবে সর্তকতার সাথে রেলক্রসিং গুলো পারাপারের পরামর্শ রেল বিভাগের।
সরেজমিনে উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের হরিমঙ্গল রেলক্রসিংয়ে গিয়ে দেখা যায়,সেখানে রয়েছে অরক্ষিত রেলক্রসিং।গেইটে নেই কোনো ব্যারিকেড,নেই গেইট ম্যানও।ব্যারিকেড ও গেইট ম্যান না থাকায় চরম ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে আশপাশের এলাকার মানুষ ও যানবাহন।
উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের শশীদল রেল স্টেশনের নিকটবর্তী কুমিল্লা-বাগরা সড়কের উপর অবস্থিত রেলক্রসিংয়ের কাছে গিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়,উক্ত রেলক্রসিংটিতে বাঁশের দুর্বল ব্যারিকেড থাকলেও মাঝে মাঝে খুঁজে পাওয়া যায় না গেইট ম্যানকে।ঝুঁকি নিয়ে কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া দুই উপজেলার এই গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের অনেক যানবাহন চলাচল করে।
জানা যায় গত কয়েকবছর আগে এই রেল ক্রসিংয়ে বাস-ট্রেন সংঘর্ষে ১০ জন বাস যাত্রী প্রাণ হারান,আহত হোন আরও ১৮ জনের মতো।এছাড়াও উপজেলার সালদানদী থেকে হরিমঙ্গল পর্যন্ত অনুমোদিত ও অনুমোদনহীন বেশ কয়েকটি রেলক্রসিং রয়েছে,যেগুলোর প্রায় সবগুলোই অরক্ষিত।ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন,মানুষ ও গৃহপালিত গবাদিপশু।প্রায়সময়ই হতে হচ্ছে দুর্ঘটনার শিকার।
এব্যাপারে উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের তেঁতাভূমি আনন্দপুর গ্রামের স্থানীয় আমির হোসেন বলেন,বাড়ির কাছাকাছি রেলক্রসিং হওয়ার দেখতে পাই অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ের বিড়ম্বনা।প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ও যানবাহন প্রচণ্ড ঝুঁকি নিয়ে রেলক্রসিং পারাপার করতে দেখি।অধিকাংশ রেলক্রসিংয়ে নেই সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড।
এব্যপারে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তারা এই বিষয়ে বক্তব্য দিতে অনীহা প্রকাশ করে বলেন,অনুমতি ছাড়া রেলক্রসিং গুলোতে সাবধানে চলাচল করা উচিত।অনুমোদিত প্রতিটি লেভেল ক্রসিংয়ে রাত-দিন গেইটম্যানরা নিয়মিত ডিউটি করছেন।প্রতিটি লেভেল ক্রসিংয়ে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড দেয়া আছে এবং সকলকে সে গুলো দেখিয়ে চলতে বলা হয়েছে।যদি কেউ অসাবধান বশতঃ দুর্ঘটনার শিকার হয় এর দায় রেলের নয়।